- চরিত্রবান মেয়েরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে অথবা নিজের ধর্ম নিয়ে বেশ সিরিয়াস থাকে।
- চরিত্রবান মেয়েরা সর্বপ্রথম তাদের পোশাক নিয়ে খুব সচেতন থাকবে। এমন কিছু পরবে না যাতে করে বাহিরের কেউ চোখ তুলে তাকাতে সাহস করে। অনেকে বোরখা পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
- চরিত্রবান মেয়েরা প্রেমের ব্যাপার নিয়ে খুব সিরিয়াস থাকে। তারা সচারচর প্রেমে জড়াতে চায় না, কিন্তু যদি কারো সাথে প্রেমে জড়িয়ে যায়, তাহলে মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে।
- চরিত্রবান মেয়েরা সবসময় বন্ধু, পরিবার এবং বয়ফ্রেন্ডকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়। একটির জন্য অপরটির উপর প্রভাব পড়ুক তা তারা চায় না। যার জন্য তাদের ঝামেলা পোহাতে হয় বেশি।
- চরিত্রবান মেয়েদের রাগ একটু বেশি। যার উপর রেগে যায় তাকে মুখের উপর সব বলে দেয়। মনে কোনও রকম রাগ, হিংসে লুকিয়ে রাখে না। এতে অনেকের কাছে ঝগড়াটে উপাধিও পেয়ে বসে।
- চরিত্রবান মেয়েদের রাগের ঝামেলা পোহাতে হয় বিশেষ করে তাদের বয়ফ্রেন্ডকে। এরা রেগে থাকলে অযথা বয়ফ্রেন্ডকে ঝাড়ে। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সরি বলে। যে মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে সরি বলে তাহলে বুঝতে হবে সে তার বয়ফ্রেন্ডকে খুব বেশি ভালোবাসে।
- চরিত্রবান মেয়েরা সাধারণত ফেসবুকে ছবি আপলোড দেয় না। যদি দেয় তাহলে প্রাইভেসি দিয়ে রাখে। ফেসবুকে কতিপয় লুলু পুরুষ থেকে তারা ১০০ হাত দূরে থাকে।
- চরিত্রবান মেয়েদের বন্ধু/বান্ধবের সংখ্যা খুব সীমিত থাকে ও এরা সাধারণ ঘরকুনো স্বভাবের বেশি হয়।
- চরিত্রবান মেয়েরা আড্ডা বাজিতে খুব একটা যেতে চায় না। যার জন্য তাদের বন্ধু/বান্ধব থেকে ভাব ওয়ালি/আনকালচার খেতাব পেতে হয়।
- চরিত্রবান মেয়েদের কাছে পরিবারের সম্মানটুকু সবার আগে। তারা পরিবারের সম্মানের বিরুদ্ধে কোনও কাজ কখনও করে না।
সর্বশেষ
শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩
মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩
আজব প্রাণী প্লাটিপাস
![]() |
আজব প্রাণী প্লাটিপাস |
হাঁসের মতো দেখতে হলেও প্লাটিপাসরা মোটেই পাখি বা মাছ নয়। প্লাটিপাসরা স্তন্যপায়ী। তারা সন্তান প্রসব করে, এবং সন্তানদের দুধ খাওয়ায়।
তবে স্তন্যপায়ীদের মত তাদের দাঁত নেই, ঐ এক ঠোঁটই তাদের সব। সেই ঠোঁট দিয়ে পানির একদম তলা থেকে চামচের মতো শামুক, গুগলি, জেলিফিশ, লার্ভা, কৃমি সব তুলে নিয়ে আসে। সেগুলোর সঙ্গে তুলে আনে নুড়ি আর মাটিও। তারপর সেগুলো ইচ্ছেমতো চিবিয়ে চিবিয়ে খায়। যেহেতু প্লাটিপাসের দাঁত নেই, এই নুড়িগুলোই দাঁত বানিয়ে প্লাটিপাস শক্ত শক্ত খোলস চিবিয়ে ভেতরের মাংসল অংশ খেয়ে ফেলে। কত বুদ্ধি ওদের!
এত বুদ্ধি শুনে আবার ভেবো না প্লাটিপাসরা খুব বড় কিছু। প্লাটিপাসরা বেশ ছোট এদের শরীর আর মাথা নিয়ে ১৫ ইঞ্চি আর লেজ ৫ ইঞ্চি। মানে পুরোপুরি ২০ ইঞ্চি। ওদের শরীরটাও মুখের মতোই চ্যাপটা,তবে পানির মধ্যে দিয়ে ওরা খুব সহজেই চলাচল করতে পারে। প্লাটিপাসদের শরীর পুরু বাদামী লোম দিয়ে আবৃত থাকে। আর লোমগুলোও এমন কার্যকরী যে সেগুলো ভেদ করে পানি প্লাটিপাসের শরীরে ঢুকতেই পারে না। এতে প্লাটিপাস সারাদিন পানিতে থাকলেও ঠাণ্ডায় শরীর জমে যায় না। বেশ গরম থাকে।
প্লাটিপাসের সবচেয়ে দারুণ বিষয় হচ্ছে ওদের চঞ্চু। চ্যাপ্টা চঞ্চুর গাঁয়ে অনেকগুলো সংবেদন গ্রহনকারী স্নায়ু থাকে। ফলে পানির আশেপাশে যেখানেই শিকার থাকুক ঠিক তারা বুঝে ফেলে।
প্লাটিপাসরা ১২-২০ বছর পর্যন্ত বাচে। তবে তাদের জীবনটা নিঃসঙ্গ অবস্থায়, খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে কেটে যায়।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
লাল পাণ্ডা সম্পর্কে অজানা তথ্য।
লাল পান্ডা একটি প্রাণী যা পান্ডা পরিবারের স্তন্যপায়ী প্রাণীর অন্তর্গত। নামটি এসেছে লাতিন "আইলরাস ফুলজেন্স" থেকে, যার অর্থ "জ্বলন্ত বিড়াল", "বিড়াল-ভাল্লুক"। ১৩ তম শতাব্দিতে চীনে এই বিস্ময়কর প্রাণীটির সম্পর্কে জানা যায় তবে ইউরোপীয়রা কেবল ১৯ শতাব্দীতে এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিল।
লাল পান্ডাকে প্রায়শই একটি বিড়ালের সাথে তুলনা করা হয় তবে বিড়ালের সাথে খুব কম মিল রয়েছে। যদিও এই প্রজাতির পান্ডাকে ছোট হিসাবে বিবেচনা করা হয় তবে এটি সাধারণ ঘরোয়া বিড়ালের চেয়ে আকারে অনেক বেশি বড়। শরীরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০-৬০ সেন্টিমিটার এবং লেজ সাধারণত ৫০ সেন্টিমিটার অবধি হয়। পুরুষের ওজন ৩.৮-৬.২ কিলোগ্রাম এবং স্ত্রীদের ওজন প্রায় ৪.২-৬ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়।
তাদের একটি বড় ফ্লাফি লেজ রয়েছে, যা এই প্রাণীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাল পান্ডার মাথাটি প্রশস্ত কান ছোট এবং বৃত্তাকার।
পাণ্ডা আকারে ছোট, তবে বেশ শক্তিশালী । লাল পান্ডার রঙটি অস্বাভাবিক এবং খুব সুন্দর। চুলগুলি লাল রঙের পাগুলি সম্পূর্ণরূপে কালো, তবে মাথা সম্পূর্ণরূপে তুষার সাদা।
বিশ্বজুড়ে ৮৫ টি চিড়িয়াখানায় প্রায় ৩৫০ লাল পাণ্ডা রয়েছে, যেখানে তাদের প্রয়োজনীয় বাসস্থান এবং খাবার সরবরাহ করা হয়।
পান্ডাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা তাদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করে। লাল পান্ডার প্রজনন মৌসুম জানুয়ারিতে। সাধারণত ১২০ দিনের মধ্যে এরা বাচ্চা প্রসব করে।
নরম বাঁশের অঙ্কুর, বেরি, মাশরুম এবং বিভিন্ন ফল লাল পান্ডার অন্যতম খাবার। ছোট ইঁদুর এবং পাখির ডিম ও খেয়ে থাকে।
যেহেতু প্রাণীগুলি বেশিরভাগ স্বল্প-ক্যালোরিযুক্ত খাবার খায়, তাই তাদের দেহকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করার জন্য তাদের প্রতিদিন প্রায় 2 কেজি খাবার গ্রহণ করতে হবে।প্রকৃতিতে, লাল পান্ডাগুলি প্রায় 10 বছর বেঁচে থাকে। তবে বন্দি দশায় বা চিড়িয়াখানায় ১৫-২০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২
সমাজসেবা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। DSS job circular 2022
পদের নাম: সাইকো-সোস্যাল কাউন্সেলর
পদ সংখ্যা: ২১ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাইকোলজি/ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর অথবা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী।
বেতন: ৩৫,০০০ টাকা।
পদের নাম: শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী
পদ সংখ্যা: ২৮৭ টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যে কোন বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী।
বেতন স্কেল: ২৫,০০০ টাকা।
আবেদন শুরুর সময়: ০২ অক্টোবর ২০২২ তারিখ সকাল ১০:০০ টা থেকে শুরু হবে।
আবেদনের শেষ সময: ২৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ বিকাল ০৫:০০ টায় শেষ হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদন করতে হবে অনলাইনে http://cspb.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধমে অনলাইনে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি ইউজার আইডি ও পিন দেওয়া হবে। ইউজার আইডি ও পিন দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবেদন করার জন্য কোনরকম আবেদন ফি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এরপর আপনারা একটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাবেন। পরবর্তীতে আপনারা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে এডমিট কার্ড তুলতে পারবেন।
চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার আশ্বাস দিলেন ওবায়দুল কাদের।
সরকারী চাকুরীর বয়স বৃদ্ধিতে যুব প্রজন্মের পক্ষে তানভীর হোসেন ও রেজওয়ানা বিন্দু স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের দেয়া নির্বাচনি ইশতেহারে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেছিলেন। ওবায়দুল কাদের জানান, "যেহেতু বিষয়টি ইশতেহারে উল্লেখ ছিল, সুতরাং বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখ থাকায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বৃদ্ধি করার যে দাবি যুব প্রজন্ম জানিয়েছে, তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকার ধানমন্ডিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়ে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন যুব প্রজন্মের প্রতিনিধি দল।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনায় দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় যুব প্রজন্মের পক্ষে তানভীর হোসেন ও রেজওয়ানা বিন্দু তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের দেয়া নির্বাচনি ইশতেহারে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, "যেহেতু বিষয়টি ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছিল, সুতরাং বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’
সংগঠনটির সমন্বয়ক সাজিদ সেতু এ প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা দিয়ে পরবর্তীতে সরকার গঠনের পরও চার বছর হয়ে গেল অথচ ইস্যুটি এখনও উপেক্ষিত। ২০১৮ সালে সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা ৩৫ করার ওয়াদা করা হয়েছিল৷ এরপর করোনার জন্য সব বয়সী শিক্ষার্থীর জীবন থেকে দুই বছর কেড়ে নিয়েছে। অর্থাৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণ এখন সময়ের দাবি।
সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
কুখ্যাত ১৫ জন বাঙালি নাস্তিক কবি ও সাহিত্যিক।
বাংলাদেশের কিছু মুসলমান লেখক ও সাহিত্যিক বিখ্যাত বনে যাওয়া সত্ত্বেও তারা স্বঘোষিত নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আজকে আমি সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত ১৫ জন বাঙালী নাস্তিক কবি সাহিত্যিক সম্পর্কে আলোচনা করব তাদের নামধাম ও পরিচয় জানলে আপনারা অবাক না হয়ে পারবেন না। আপনি হয়তো কল্পনাই করতে পারবেন না যে, এত বড় মাপের কবি সাহিত্যিকরা নাস্তিক ছিলেন। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাদের চোখ বড় বড় হয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও হতে চলেছে। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন করবো এই সকল কবি সাহিত্যিকের বই পড়া থেকে বিরত থাকবেন। তো চলুন জেনে নিই কারা সেই কবি সাহিত্যিক। ইসলাম বিরোধী কুখ্যাত ১৫ জন বাঙালি নাস্তিক কবি ও সাহিত্যিক।
১। বাউল লালন শাহঃ সুবিধাবাদী সেক্যুলার। কোন ধর্ম পালন করতো না। জীবনে যতবার গাঁজা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ। দেশের সকল নাস্তিক লালন বলতে অজ্ঞান। লালনের অনুসারিরা লালনের জন্মদিনে গাঁজা খাওয়ার উৎসব করে থাকে। লালন এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতো যেখানে ধর্ম বলে কিছু থাকবে না, হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান এরকম কোন ধর্মীয় পরিচয় মানুষের থাকবে না।
২। আহমেদ শরীফঃ নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই নাস্তিকের নাম জানে না। তার একটা বিখ্যাত উক্তি-“পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও যেভাবে খুশি যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে।” স্বঘোষিত নাস্তিক তার ইচ্ছা মেনে মৃত্যূর পর তার জানাজা এবং কবর কোনটাই হয়নি।
৩। আরজ আলী মাতব্বরঃ অতি সাধারন অশিক্ষিত এক কৃষক হয়েও সে বাংলার নাস্তিক সমাজের মধ্যমনি। ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা থাকার দরুন না বুঝেই ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। কুরআন-হাদীসের ভূল ধরতে গিয়ে সে কেবল তার নের সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরতে পেরেছে।তবুও শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধীতা করার কারনে নাস্তিকরা তাকে নিজেদের ধর্মগুরু বানিয়ে নিয়েছে।
৪। হুমায়ুন আজাদঃ বাংলা সাহিত্যের অশ্লীল ও কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম মেনে ঠিকই তার জানাজা ও কবর দেয়া হয়েছে, সে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড় বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে সম্ভবত সে ভীত ছিল। মেয়ে মৌলি আজাদের ভাষায়-মাত্রাতিরিক্ত সেক্সের প্রাধান্য থাকতো বাবার উপন্যাসে। তাই মাঝে মধ্যে বিরক্তই হতাম হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত কিছু উক্তি-এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি।মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে।
৫। কবি শামসুর রহমানঃ শামসুর রহমানের একটি কুখ্যাত উক্তি- আযানের ধ্বনি বেশ্যার খদ্দের ডাকার ধ্বনির মত মনে হয় নাউজুবিল্লাহ। এই একটা উক্তিই প্রমান করে শামসুর রহমান কি পরিমাণ ইসলাম বিদ্বেষী ছিল। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি কি চান আপনার কবর হোক আপনার খালার কবরের পাশে? নাস্তিকটা জবাব দিয়েছিল-আমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।
৬। তসলিমা নাসরিনঃ তাকে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। তার একটি বিখ্যাত উক্তি-পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে লেখক ইমদালুল হক মিলন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্র মুহম্মদ, সৈয়দ শামসুল হক, মিনার মাহমুদ সহ আরো অসংখ্য পুরুষ বৈধ/অবৈধভাবে তাকে ভোগ করেছে বলে তসলিমা তার আত্মজীবনিতে অভিযোগ করেছে!! সে কি মাপের ইসলামবিদ্বেষী সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করলেও খেয়াল করলে দেখবেন তার যত ক্ষোভ, যত ঘৃণা সব কিছুই ঝাড়ে কেবল ইসলাম ধর্মের উপর। সনাতন ধর্ম কিংবা খ্রিস্ট ধর্ম অথবা ইহুদীদের নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা তেমন চোখে পড়ে না।
৭। জাফর ইকবালঃ বাংলাদেশের নাস্তিকতা প্রচারের মিশন দিয়ে আমেরিকার একটি বিশেষ সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তরুন সমাজকে নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও জাফর এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে পেট চালায়। জাফরের দাবী সে পাকিস্তানের দোষর রাজাকারদের ঘৃণা করে,কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য ৭১ সালে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সমর্থন ও সামরিক সাহায্য দেয়া রাষ্ট্র আমেরিকার ব্যাপারে তার কোন চুলকানিই নেই। জাফর নিজে আমেরিকায় চাকরী করতো, এখন সে তার ছেলে-মেয়েদেরকেও আমেরিকা পাঠিয়েছে পড়াশোনা করার জন্য।
৮। লেখক আনিসুল হকঃ সেক্যূলারপন্থী লেখক আনিসুল হক নাস্তিকপন্থী পত্রিকা প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে সে কুরআনের একটি সূরাকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি সূরা রচনা করে, বছরখানেক আগে তার ঐ লেখা পুনঃপ্রকাশিত হলে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সেক্যুলারপন্থী আনিসুল হক ভয় পেয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চায়। এরপর সে আরো কৌশলী হয়ে যায়, সরাসরি ইসলাম অবমাননা না করে এখন সে তার নাটক-সিনেমা ও পত্রিকা দ্বারা ইসলাম বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
৯। সুলতানা কামালঃ জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে।কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার। ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রতি সে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে থাকে। আসিফ মহিউদ্দিন নামক উগ্র নাস্তিককে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে যখন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তখন সে আসিফকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। সারারাত থানায় অবস্থান করে নাস্তিক আসিফকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।
১০। কবির চৌধুরী (গজবতুল্লাহ)ঃ চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল- তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও ঐ কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে।সংবিধানে ’বিসমিল্লাহ’ রাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো। আজ সে মালিক ফিসিস্তার তত্ত্বাবধান আছে ।
১১। সৈয়দ শামসুল হকঃ এটা আরেক উগ্র সেক্যুলার। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও ছিল নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। তার একটা কবিতা হল এরকম-যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ আরেকটা কবিতা এরকম- শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমাআর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায় যাদের সাহিত্যের ভাষা এমন নোংরা তারা সেক্যুলার/নাস্তিক হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করতো তাহলে সেটাই বরং আশ্চর্য্যের ব্যাপার হত।
১২। মুনতাসির মামুনঃ এই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল-সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী । বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য-এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে।
১৩। ফরহাদ মজহারঃ এই লিস্টে উনার নাম দেখে অনেকেই চমকে গেছেন!! তাইনা?? আওয়ামীলীগ-বিরোধী অবস্থান নেয়ার কারনে অনেকে তার আসল পরিচয় জানে না। এক সময় সে ছিল একজন কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক, বর্তমানে তার ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। সে এখন আর আগের মত নাস্তিকতা প্রচার করে বেড়ায় না, বরং ইসলামপন্থীদের পক্ষাবলম্বন করে কলাম লেখে-বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেটা যতটা না আদর্শগত কারনে তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারনে। {{সে এখনো নাস্তিক আছে নাকি তওবা করে মুসলমান হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।তওবা করেছে কিনা জানিনা }} নব্বইয়ের দশকে “এবাদত নামা” নামে একটি ইসলাম বিদ্বেষী কাব্যগ্রন্থ লিখে সে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল। কয়েকটা লাইন উল্লেখ করছি: বিবি খাদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি, বিসমিল্লাহ কহিব না, শুধু খাদিজার নাম নেবো। নবীজীর নাম? উহু, তার নামও নেবোনা মালিক শুধু খাদিজার নাম- দুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব তোমাকেও ভুলে যাবো, ভুলে যাবে নবীকে আমার।
১৪। শফিক রেহমানঃ বাংলাদেশে “ভ্যালেন্টাইন ডে” নামক বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়। অশ্লীলতার দিক দিয়ে হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে নস্যি। শফিক “মৌচাকে ঢিল” নামক একটি সেমি-চটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। এছাড়া বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান শফিক রেহমানের। তার বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগও রয়েছে।
১৫। কবি দাউদ হায়দারঃ বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠা স্বঘোষিত নাস্তিকদের অন্যতম সে। তার কবিতাগুলো অশ্লীলতা ও গালাগালীতে ঠাসা ।তার “জন্মই আমার আজন্ম পাপ”বইয়ের একটি কবিতার কয়েটি লাইন এমন–“শালা শুয়োরের বাচ্চা ….. কোথায় যাও হে…. আমরাই পাপীরে হারামজাদা…”। অন্য এক জায়গায় আলেমদের উদ্দেশ্য করে লিখেছে–“মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি….. আননে কি রুপের বাহার…….এক্ষনি পশ্রাবে ভরে দেব মুখ”।
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
বাংলাদেশের প্রখ্যাত ২৫ জন চলচ্চিত্র পরিচালক।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত ২৫ জন চলচ্চিত্র পরিচালক।
চলচ্চিত্র যে কোনো দেশে জনসাধারণকে বিনোদন দেওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমরা সবসময় এটি শুধু পর্দায় কাজ করতে দেখি। সেজন্য আমরা অনেকেই পর্দার অন্তরালের মুখগুলোকে চিনি না। অর্থাৎ একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের মূল কারিগর পরিচালক তিনি সবার চক্ষু আড়ালেই থেকে যায়।
আজকের ভিডিও তে আমরা বাংলাদেশের সেরা ২৫ জন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালকের নাম ও তাদের ব্যাবসা সফল মুভির কথা বলব যারা তাদের প্রতিভা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। এবং বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে বৈশ্বিক জনপ্রিয়তার অন্য উচ্চতায়।
১। এহতেশাম
তিনি উর্দুতে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন এবং স্বাধীনতার পরে বাংলায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তিনি সফল অভিনেতা নাদিম বেগকে আবিষ্কার করেন এবং পরে তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। উর্দুতে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের শিল্পীদের নিয়ে চান্দা (১৯৬২) ও চকোরী (১৯৬৭) নির্মাণ করেন। চকোরী ছবিতে নাদীম-এর অভিষেক হয় এবং শাবানার তা প্রথম উর্দু ছবি ছিল। তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান দুই জায়গাতেই জনপ্রিয়তা পায় চলচ্চিত্র দুটি। সে সময় পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় একজন চিত্রসমালোচনায় লিখেছিলেন, "সিনেমা বানানো শিখতে হলে সিনেমার তীর্থস্থান ঢাকায় যাও।
২। জহির রায়হান
জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। জহির রায়হান রচিত প্রথম উপন্যাস শেষ বিকেলের মেয়ে ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। তার রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো হাজার বছর ধরে ও আরেক ফাল্গুন। হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য ১৯৬৪ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র কখনো আসেনি (১৯৬১) মুক্তি পাই । ১৯৬৪ সালে কাঁচের দেয়াল চলচ্চিত্রের জন্য তিনি নিগার পুরস্কার অর্জন করেন। তার নির্মিত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হলো বেহুলা, সঙ্গম, আনোয়ারা এবং জীবন থেকে নেওয়া। স্টপ জেনোসাইড প্রামাণ্যচিত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে তিনি বেশ প্রশংসিত হন। এই মহান চলচ্চিত্রকর ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ পাকিস্তানি হানাদারের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন।
৩। সুভাষ দত্ত
সুভাষ দত্ত একজন বাংলাদেশী বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, সিনেমা চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা। তিনি ষাটের দশক থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ। তার কর্মজীবনের শুরু হয়েছিল সিনেমার পোস্টার এঁকে। এ দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি। মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রে আর্ট ডিরেকশনের মধ্য দিয়ে তার পরিচালনা জীবন শুরু হয়। এরপরে তিনি এহতেশাম পরিচালিত এ দেশ তোমার আমার ছবিতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র সুতরাং (১৯৬৪)। এবং সর্বশেষ চলচ্চিত্র ও আমার ছেলে ২০০৮ সালে মুক্তি লাভ করে। এছাড়া তিনি বেগম রোকেয়া'র জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার ইচ্ছে পোষণ করলেও তা পূরণ করে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তার সুদীর্ঘ কর্ম জীবনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৭৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ প্রযোজক-পরিচালকের পুরস্কারে ভূষিত করে। এবং ১৯৯৯ সালে একুশে পদক প্রদান করে। এছড়াও তিনি দেশি-বিদেশি অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছিলেন।
৪। চাষী নজরুল ইসলাম
চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুর শ্রীনগর থানার সমষপুর গ্রামে চাষী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ১৯৬১ সালে তখনকার খ্যাতিমান পরিচালক ফতেহ লোহানীর সাথে 'আসিয়া' চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯৬৩ সালে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ উল হকের সহকারী হিসাবে 'দুইদিগন্ত' চলচ্চিত্রে কাজ করেন । ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনিই প্রথম নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক চলচ্চিত্র 'ওরা ১১ জন'। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭২-এ মুক্তি পাওয়ার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে চাষী নজরুলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র রয়েছে সেগুলো হলো রামের সুমতি, শুভ দা, বেহুলা লখিন্দর, লেডি স্মাগলার, আজকের প্রতিবাদ, দাঙ্গা ফ্যাসাদ এর মতো অনেক চলচ্চিত্র তৈরি করে সুনাম কুড়িয়েছেন এই পরিচালক। এই মহান চলচ্চিত্র পরিচালক ১১ জানুয়ারি ২০১৫ সালে না ফেরার দেশে চলে যান।
৫। এ জে মিন্টু
বাঁধনহারা, চ্যালেঞ্জ, অশান্তি, লালু মাস্তান, সত্য মিত্থা, ন্যায় অন্যায়, পিতা মাতা সন্তান, বাংলার বধু, প্রথম প্রেম ও বাপের টাকা) মিন্টু হলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে সর্বাধিক সংখ্যক পুরষ্কার প্রাপ্ত একমাত্র পুরুষ , নারীদের মধ্য হলেন সাবিনা ইয়াসমিন । এছাড়াও মিন্টু একজন সফল প্রযোজকও ছিলেন। মিন্টুর ছবি দেখতে সব শ্রেণীর দর্শক হলে হুমড়ি খেয়ে পড়তো। যিনি প্রতিটা দৃশ্য কে বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার মতো উপস্থাপন করতেন যার কারন শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবেও একাধিকবার পুরষ্কার পেয়েছেন।এ জে মিন্টু হলেন একজন বাংলাদেশী পরিচালক। তিনি ৪ বার শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।
৬। দেওয়ান নজ্রুল
দেওয়ান নজরুল চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে যুক্ত হন ইবনে মিজান পরিচালিত নাগিনীর প্রেম চলচ্চিত্রে শিক্ষানবিশ হিসেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৪ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত ডাকু মনসুর, দুই রাজকুমার,নিশান, এক মুঠো ভাল,জিঘাংসা, বাহাদুর চলচ্চিত্রে সহকারী এবং প্রধান সহকারী পরিচালক এবং গীতিকার হিসেবে কাজ করেন। নিশান চলচ্চিত্রেটি ছিল পরিচালক ইবনে মিজানে সাথে করা শেষ চলচ্চিত্র এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। প্রধান সহকারী পরিচালক থেকে পরিচালক হিসেবে দেওয়ান নজরুলের প্রথম চলচ্চিত্র আসামী হাজির। তবে কোন কারণে চলচ্চিত্রটির কাজ শেষ করতে পারেন নি। এরপর তিনি ১৯৭৬ সালে শুরু করেন দোস্ত দুশমন চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ। ১৯৭৭ সালে তা মুক্তি পায়। এটিই দেওয়ান নজরুল পরিচালিত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র। এখানে জসিম খল চরিত্রে অভিনয় করে দারুন খ্যাতি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি অ্যাকশন হিরো হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে স্থান করে নিয়েছিলেন।[৩] চলচ্চিত্রটি বিখ্যাত হয় এবং দেওয়ান নজরুল পরিচালক হিসেবে স্থায়ী আসন লাভ করেন। এই চলচ্চিত্রে পশ্চিমা ধারার মারামারির দৃশ্য সফলভাবে চিত্রায়িত হয়। এরপর তিনি তার পূর্বের অর্ধ সমাপ্ত আসামি হাজির চলচ্চিত্র পুণঃনির্মাণ শুরু করেন। এটিও ব্যাবসা সফল চলচ্চিত্র হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে সুনাম অর্জন করে। অভিনেতা রিয়াজ তার হাত ধরে " বাংলার নায়ক" চলচ্চিত্রে মাধ্যমে পা রাখেন । দেওয়ান নজরুলের সহকারী এবং প্রধান সহকারী পরিচালকেরা এখন চলচ্চিত্র বা টিভির জগতে নামকরা মুখ তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা কায়েস চৌধুরী, পরিচালক রায়হান মুজিব ,পরিচালক রানা নাসের এবং পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান । তার " জনি" চলচ্চিত্র এর প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল যশোরে "মনিহার " সিনেমার যাত্রা ।
৭। তারেক মাসুদ
তারেক মাসুদ ১৯৫৬ সালে ৬ ডিসেম্বর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী স্বাধীন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক এবং গীতিকার। মাটির ময়না (২০০২) তার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র যার জন্য তিনি ২০০২-এর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন এবং এটি প্রথম বাংলাদেশী বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশী নিবেদন করা হয়েছিল।
তার পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সোনার বেড়ি (১৯৮৫) এবং সর্বশেষ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রানওয়ে মুক্তি পায় ২০১০ সালে। চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৩ সালে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান,প্যাসিফিক, আমেরিকান ইন্সটিটিউট এবং দক্ষিণ এশিয়া সলিডারিটি ইনিশিয়েটিভ তার চলচ্চিত্রের প্রথম উত্তর আমেরিকান 'ফিরে দেখা' অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।১৩ আগস্ট ২০১১ মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
৮। গাজী মাজহারুল আনোয়ার
গাজী মাজহারুল আনোয়ার চলচ্চিত্র জগতের পরিচিত মুখ। তিনি "ষষ্ঠ", "স্বাধীন", "ক্ষুধা", "জীবনের গল্প", "জাজমেন্ট পতি", "অ্যায় ইয়ে দুনিয়া" ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য পরিচিত। তিনি মোট 19টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার গ্ল্যামারাস ইন্ডাস্ট্রিতে অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে একজন গীতিকার হিসাবে এখানে প্রবেশ করেন এবং বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের সাথে কাজ করেছেন। পরে তিনি প্রযোজক ও পরিচালক হন। তিনি একুশে পদক, বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ইত্যাদি অনেক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন।
৯। আমজাদ হোসেন
অভিনেতা ও পরিচালক উভয় চরিত্রেই অভিনয় করেছেন আমজাদ হোসেন। তিনি একজন গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন অভিনেতা হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন, পরে সহকারী পরিচালক হন। ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো তিনি জহির রায়হানকে "প্লে উইথ ফায়ার" পরিচালনায় সহায়তা করেন। চমৎকার পরিচালনার জন্য তিনি "বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার" এবং "একুশে পদক" এর মত পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য লেখা দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য তিনি "বাংলা একাডেমি পুরস্কার"ও লাভ করেন। তার অভিনীত কয়েকটি জনপ্রিয় সিনেমা হলো ‘গোলাপী একতা ট্রেন’, ‘ভাত দে’, ‘আবার তোরা মানুষ হো’, ‘জন্ম থেকে জলছি’ ইত্যাদি।
১০। হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য লেখক হিসেবে পরিচিত। বেশ কিছু ছবিতে পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
হুমায়ূন অনেক নাটক লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন এবং এটি তার চলচ্চিত্র পরিচালক হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। 1990 এর দশকে তার প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি। পরবর্তীতে তিনি আরও সাতটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন, যা ব্যক্তিগতভাবে কোটি দর্শকের মন জয় করে।
হুমায়ূন অভিনীত অন্য সাতটি সিনেমা হলো 'শ্রাবণ মেঘের দিন', 'দুই দুয়ারি', 'চন্দ্রকথা', 'শ্যামল ছায়া', 'নিন নম্বর বিপদ সংকেত', 'আমার হরে জল' এবং 'ঘেটুপুত্র কমলা'। এই ছবিগুলো তাকে একজন সফল পরিচালক বানিয়েছে।
১১। আজিজুর রহমান
আজিজুর রহমান ১৯৩৯ সালের ১০ অক্টোবর সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরের কলসা সাঁতাহার মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রুপচাঁন প্রামানিক। তিনি স্থানীয় আহসানুল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাস ও ঢাকা সিটি নাইট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্সিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেন। আজিজুর রহমান একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। পরিচালক এহতেশামের সহকারী হিসেবে তিনি চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র লোককাহিনী নির্ভর সাইফুল মুল্ক্ বদিউজ্জামাল (১৯৬৭)। তিনি অশিক্ষিত (১৯৭৮), মাটির ঘর (১৯৭৯), ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০) চলচ্চিত্র পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
১২। শহীদুল ইসলাম খোকন
শহীদুল ইসলাম খোকন ১৫ মে, ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) বরিশাল জেলার ইমামকাঠি অন্তর্গত বোয়ালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। পরিচালনার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও অভিনয় করেছেন। মৌলিক গল্প, দুর্দান্ত অ্যাকশন, মিষ্টি মধুর গান আর টানটান উত্তেজনা ভরপুর চলচ্চিত্র নির্মাণে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। শহীদুল ইসলাম খোকনের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানার হাত ধরে। এরপর তিনি সোহেল রানার ছোট ভাই রুবেলকে নিয়ে নির্মাণ করেন অ্যাকশন নির্ভর 'লড়াকু' যা ব্যবসাসফল হয়। খোকন মানেই রুবেল এর কিছু অসাধারন অ্যাকশন আর ভিন্নধর্মী কোন গল্প। খোকন, আলম খান, রুবেল এই তিনজন ছিলেন ছবির তিন প্রধান কারিগর। লড়াকু, বীরপুরুষ, বজ্রমুসঠী , বিপ্লব, সন্ত্রাস, অপহরণ, সতর্ক শয়তান, বিসশপ্রেমিক, দুঃসাহস, গৃহযুদ্ধ ঘাতক, লম্পট, ভণ্ড, পাগলা ঘণ্টার মতো অনেক ব্যবসা সফল ছবির পরিচালক খোকন যার ছবির কাটতি ছিল সবসময়। ইলিয়াস কোবরা, ড্যানি সিডাক, সিরাজ পান্না, চিত্রনায়িকা মিশেলাদের নিয়ে মার্শাল আর্ট এবং অ্যাকশন ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তিনি সফলতা লাভ করেন। শহীদুল ইসলাম খোকন জয়া ইসলামকে বিয়ে করেন। তাদের ১ মেয়ে ও ২ ছেলে। শহীদুল ইসলাম খোকন ৪ এপ্রিল, ২০১৬ সালে না ফেরার দেশে চলে যায়।
১৩। মনতাজুর রহমান আকবর
মনতাজুর রহমান আকবর ৩১ জুলাই, ১৯৫৭ জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, সমাজকর্মী ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।তিনি মূলত বাংলা চলচ্চিত্রে মারপিঠধর্মী ও প্রণয়ধর্মী ঘরানার চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি নায়ক মান্না এর সাথে ২২ টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এছাড়াও ডিপজলের সাথে ১৮ টি, লেখক আব্দুল্লাহ জহীর বাবু এর সাথে ৪৬ টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এছাড়াও তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ডিপজল, পপি, কেয়া, রিয়া সেন, শাকিবা, সংগীতা, অন্তরা বিশ্বাস, আকাশ খান এবং পুস্পি এই নতুন মুখ গুলোর ঢাকাই চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে।
তার পরিচালনায় সিনেমাগুলো হলো, ন্যায় যুদ্ধ,চাকর, প্রেম দিওয়ানা,টাকার পাহাড়,ডিসকো ডান্সার, বাবার আদেশ, বশিরা, বাঘিনী কন্যা, খলনায়ক, শয়তান মানুষ, কুলি,আমার মা,অন্ধ ভালোবাসা,শান্ত কেন মাস্তান,মনের মত,কে আমার বাবা,মগের মুল্লুক লাঠি,ভয়ংকর বিষু,আশা আমার আশা,গুন্ডা নাম্বার ওয়ান,মনে পরে তোমাকে,কুখ্যাত খুনী,ভয়ংকর সন্ত্রাসী,কঠিন বাস্তব, চেয়ারম্যান,রংবাজ বাদশা,ঢাকাইয়া মস্তান,ভয়ানক সংঘর্ষ, মেজর সাহেব, আরমান, মাস্তানের উপর মাস্তান, আঘাত পাল্টা আঘাত, বউয়ের সম্মান, বিগ বস,কঠিন সীমার,বাঁচাও,টপ সম্রাট,ভাইয়ের শত্রু ভাই,জীবনের গারান্টি নাই,বস্তির রানী সুরিয়া,ভন্ড নেতা,একশ্যান লেডি,ভয়ংকর রাজা,দুশমন খতম,কুখ্যাত নুরু,বাবার জন্য যুদ্ধ,তুমি আমার স্বামী,কাজের মানুষ,মায়ের চোখ,রিক্সাওয়ালার ছেলে,টপ হিরো,এভাবেই ভালোবাসা হয়,ছোট্ট সংসার,বাজারের কুলি,তবুও ভালোবাসি,আগে যদি জানতাম তুই হবি পর,মাই নেম ইজ সিমি,বোঝেনা সে বোঝেনা,দুলাভাই জিন্দাবাদ,মাই ডার্লিং ইত্যাদি।
১৪। এফ আই মানিক
এফ আই মানিক ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি মায়ের মতো ভাবী (২০০৮) চলচ্চিত্র নির্মাণ করে শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।[১] তার পরিচালিত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহ হল স্বপ্নের বাসর (২০০১), পিতার আসন (২০০৬), দাদীমা (২০০৬), কোটি টাকার কাবিন (২০০৬), চাচ্চু (২০০৬), মাই নেম ইজ সুলতান (২০১২), জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার ২০১৩।
এফ আই মানিক নির্মিত আরও কিছু চলচ্চিত্রের তালিকাঃ
স্বপ্নের বাসর (২০০১),ভাইয়া (২০০২),লাল দরিয়া (২০০২),দুই বধূ এক স্বামী (২০০৩),মান্না ভাই (২০০৪),চাচ্চু (২০০৬),কোটি টাকার কাবিন (২০০৬),পিতার আসন (২০০৬),দাদীমা (২০০৬),মায়ের মতো ভাবী (২০০৮),যদি বউ সাজো গো (২০০৮),আমাদের ছোট সাহেব (২০০৮),বিয়ের লগ্ন (২০০৮),মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি (২০০৯),চিরদিন আমি তোমার (২০০৯),সবার উপরে তুমি (২০০৯),আমার ভাই আমার বোন (২০১০),আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০),এক জবান (২০১০),স্বামী ভাগ্য (২০১২),মাই নেম ইজ সুলতান (২০১২),জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার (২০১৩),দুই পৃথিবী (২০১৫)।
১৫। কাজী হায়াৎ
কাজী হায়াৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের তারাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং অভিনেতা। তিনি ১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৭৬-১৯৭৭ মৌসুমে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবিরের সাথে সীমানা পেরিয়ে ছবিতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৯ সালে দি ফাদার ছবিটি পরিচালনার মধ্যে দিয়ে পূর্ণ-পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তার বেশিরভাগ ছবিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সমসাময়িক জনদুর্ভোগের চিত্র ফুঁটিয়ে তোলেন।কাজী হায়াৎ তার চলচ্চিত্র জীবনে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও অন্যান্য চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ সর্বমোট ৭৩টি চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি চারটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে অংশগ্রহণ করেন। দাঙ্গা চলচ্চিত্রের জন্য আফ্রো-এশিয়ো সরিডরি কমিটি এ্যাওয়ার্ড কর্তৃক প্রদেয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং লেখনীর জন্য তিনি চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে নয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং লেখনীর জন্য তিনটি বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।
কাজী হায়াৎ অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত অন্যতম চলচ্চিত্রসমূহ হল দাঙ্গা (১৯৯২), ত্রাস (১৯৯২), চাঁদাবাজ (১৯৯৩), সিপাহী (১৯৯৪), দেশপ্রেমিক (১৯৯৪), লাভ স্টোরি: প্রেমের গল্প (১৯৯৫), আম্মাজান (১৯৯৯), ইতিহাস (২০০২), কাবুলিওয়ালা (২০০৬) এবং ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০) ইত্যাদি।
১৬। তোজাম্মেল হক বকুল
তোজাম্মেল হক বকুল তোজাম্মেল হক বকুল বাংলা চলচ্চিত্রের একটি অবিস্মরনীয় নাম।যে নামের সাথে জড়িয়ে আছে একটি ইতিহাস। সেই ইতিহাসের কথা অনেকেরই জানা। সেই ইতিহাসের নাম “বেদের মেয়ে জােছনা”! এটি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। এই ইতিহাস সৃষ্টিকারী চিত্রপরিচালকের হাতেখড়ি ছিলো আরেক বরেন্যে চিত্রপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহকারী হিসেবে। সারেং বউ চলচ্চিত্রে ছিলেন সহকারী হিসেবে। এরপর সহকারী হিসেবে হাত পাকিয়েছেন বরেন্য অন্যান্য পরিচালকের সাথে। তবে চলচ্চিত্রে আগমন হয়েছিল পরিচালক আবদুস সামাদ খোকনের সহযোগিতায়। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র নাচনেওয়ালী। তিনি কতো ধানে কতো চাল নামে একটি চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করলেও শেষ করে যেতে পারেন নি।
১৭। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গীতিকবি, সুরকার, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক, চিত্রগ্রাহক, সঙ্গীত পরিচালক এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি লিডার চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন, পাশাপাশি এটি প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তার পরিচালিত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র বন্দুক, এবং এটি মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। মার্চ ২০২১-এর হিসাব অনুযায়ী, চার দশকেরও বেশি কর্মময় জীবনে তিনি ৭৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন, যা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে কোনো একক পরিচালকের সর্বাধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং সাড়ে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লিখেছেন।[১][২][৩] তার সর্বশেষ পরিচালিত চলচ্চিত্র তুমি আছো তুৃমি নেই, যা ২০২১ সালে মুক্তি পায়।
১৮। মালেক আফসারী
মালেক আফসারী ১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে সহকারী পরিচালক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পিয়াসী মন চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি চলচ্চিত্রে আগমন করেন। এরপর তিনি লুটেরা ছবির কাহিনি রচনা করেন এবং কার পাপে ছবির সংলাপ রচনা করেন। ১৯৮৩ সালে ঘরের বউ চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
তার নির্মিত অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ হল ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), ক্ষমা (১৯৯২), ঘৃণা (১৯৯৪), দূর্জয় (১৯৯৬), এই ঘর এই সংসার (১৯৯৬), হীরা চুনি পান্না (২০০০), ঠেকাও মাস্তান (২০০১), আমি জেল থেকে বলছি (২০০৫), মনের জ্বালা (২০১১), ফুল অ্যান্ড ফাইনাল (২০১৩)।[৩] ২০১৬ সালে তিনি জাজ মাল্টিমিডিয়ার রক্ত চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু জাজের ধরাবাঁধা সময়সূচিতে তিনি এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবেন না জানালে তাকে এই চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে বাদ দেওয়া হয়।[৪] তার পরবর্তী কাজ ছিল অন্তর জ্বালা। প্রয়াত অভিনেতা মান্নার এক ভক্তের কাহিনি নিয়েই ছবির গল্পটি আবর্তিত হয়েছে। জায়েদ খান প্রযোজিত এই ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন জায়েদ নিজে ও পরীমনি। এর পরে ২০১৯ সালে তিনি সাকিব খানকে নিয়ে পাসওয়ার্ড সিনেমাটি নির্মান করেন, যা ব্যবসা সফল হয়।
১৯। সোহানুর রহমান সোহান
সোহানুর রহমান সোহান হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। সোহান ১৯৭৭ সালে শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র বিশ্বাস অবিশ্বাস (১৯৮৮)। তিনি মূলত প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র পরিচালনা করে থাকেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩), স্বজন (১৯৯৬), আমার ঘর আমার বেহেশত, অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯)। তিনি বর্তমানে ইউনিভার্সেল পারফর্মিং আর্টস ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো আমার দেশ আমার প্রেম, আমার ঘর আমার বেহেশত, অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯), স্বামী চিনতাই (২০০৪),আমার জান আমার প্রাণ (২০০৮),পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০),কোটি টাকার প্রেম (২০১১), সে আমার মন কেড়েছে (২০১২),দ্য স্পিড (২০১২),লোভে পাপ পাপে মৃত্যু (২০১৪),ভাল লাগার চেয়েও একটু বেশি ইত্যাদি।
২০। বদিউল আলম খোকন
বদিউল আলম খোকন হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। যিনি রাজাবাবু - দ্য পাওয়ার, হিরো: দ্য সুপারস্টার এবং নাম্বার ওয়ান শাকিব খান-এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে তিনি আগুন চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন।
২০১৭ সালে, তিনি অন্যান্য পরিচালকদের সাথে শাকিব খানকে চলচ্চিত্র শিল্প (ঢালিউড) সম্পর্কে কটুবাক্য মন্তব্য করায় শাকিব খানকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। তিনি খানকে তার আসন্ন চলচ্চিত্র অমি নেতা হাবো-এর শুটিং করতে নিষেধাজ্ঞা করেছিলেন।[ তিনি তেলুগু ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ডাম্মু-এর অনানুষ্ঠানিক পুনঃনির্মাণ তৈরি করেছিলেন, যার নাম রাজাবাবু - দ্য পাওয়ার, যা ২০১৩ সালে ভারতে মুক্তি পায় ২০১৩ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র তোমাকে চাই-এর পরিবর্তে।
২১। শিবলি সাদিক
শিবলি সাদিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কারজয়ী বাংলাদেশী প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। শিবলি সাদিক মোস্তাফিজুর রহমানের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে নোলক, জীবন নিয়ে জুয়া, তিনকন্যা, দোলনা, ভেজা চোখ, অচেনা, মা মাটি দেশ, আনন্দ অশ্রু, মায়ের অধিকার, অন্তরে অন্তরে। ২০০৬ সালে তার পরিচালিত সর্বশেষ ছায়াছবি বিদেশিনী মুক্তি পায়।
২২। তানভীর মোকাম্মেল
তানভীর মোকাম্মেল বাংলাদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি এখানে লেখক হিসেবেও পরিচিত। তিনি এ পর্যন্ত অনেক অর্থবহ, সফল চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। যে কারণে দশবার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যা তার কর্মদক্ষতার সুস্পষ্ট পরিচায়ক। প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘চিত্রা নাদির পারে’, ‘লালশালু’, ‘নাদির নাম মধুমতি’ প্রভৃতি প্রগতিশীল চলচ্চিত্র, ব্যতিক্রমী, তিনি চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বই লিখেছেন।
২৩। মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বেশিরভাগই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবে পরিচিত, তিনি একজন প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকারও। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অসাধারণ পরিবর্তন এনেছেন তিনি। মানুষের জীবন দেখার এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব করার তার দৃষ্টিভঙ্গি খুবই অনন্য। আর এর ফলশ্রুতিতে তার ছবিগুলো অন্য অনেক দেশে প্রদর্শিত হতে পারে। ফারুকী একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্লাব ‘ছবিয়াল’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রথম ছবি "ব্যাচেলর" যেটি 2003 সালে মুক্তি পায়। তার অভিনীত অন্যান্য জনপ্রিয় সিনেমা হলো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘টেলিভিশন’, ‘ডুব’ ইত্যাদি।
২৪। তৌকীর আহমেদ
তৌকির আহমেদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা যিনি একজন জনপ্রিয় পরিচালকও। তিনি নাটক ও চলচ্চিত্র উভয়ই পরিচালনা করেছেন। তৌকির 1980 এর দশকের শুরুতে এই গ্ল্যামারাস ফিল্ডে প্রবেশ করেন।
তিনি একজন রোমান্টিক প্রধান অভিনেতা হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। সে সময় তিনি ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন। মাত্র তিনটি সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। এগুলো হলো ‘জয়যাত্রা’, ‘রূপকথা’ এবং ‘দারুচিনি দ্বীপ’।
তৌকি তার জনপ্রিয়তার প্রতিনিধিত্বকারী "ওগ্গাতোন্নামা" এবং "জয়যাত্রা" চলচ্চিত্রে অসামান্য কাজের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন।
২৫। গিয়াসউদ্দিন সেলিম
গিয়াসউদ্দিন সেলিম বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় পরিচালক। প্রথম জীবনে তিনি একজন নাট্যকর্মী ছিলেন। দল নিয়ে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউনিভার্সিটি থিয়েটার’ শুরু করেন।তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর শুরু হয় টিভি নাটক পরিচালনা। তবে তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ছবি ‘মনপুরা’ পরিচালনার জন্য পরিচিত। এটি তার প্রথম চলচ্চিত্র এবং 2008 সালে মুক্তি পায়। তিনি ‘স্বপ্নজাল’-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন যা তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে। একই সাথে গল্প লেখা এবং চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য তিনি বেশি জনপ্রিয়।
বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও টি দেখুনঃ