সর্বশেষ
Wednesday, January 13, 2021
Friday, November 27, 2020
কিভাবে বুঝবেন আপনার বাড়িতে দুষ্ট বা শয়তান জিনের বসবাস।
কিভাবে বুঝবেন আপনার বাড়িতে জিনের বসবাসঃ
জ্বিন এক অদৃশ্য জাতি মানব চোখে এদের দেখা কখনো সম্ভব না। যদি কেউ সরাসরি জিনের আকার আকৃতি দেখে তাহলে সাথে সাথে সে অজ্ঞান হয়ে যাবে। সশরীরে তাদেরকে দেখা খুবি দুস্কর ব্যপার। মতভেদ হিসেবে জ্বিন জাতি চার জায়গায় বসবাস করে।
১। মানুষের বসতবাড়ি ও টয়লেটে বসবাস করে।
২। পরিত্যক্ত জায়গায় বা নির্জন জায়গায় বসবাস করে।
৩। খাল, বিল ও পানিতে বসবাস করে।
৪। বড় বড় গাছ যেমন বটগাছ, শিমুলগাছ, তালগাছ, আমগাছ, ও শেওড়া গাছ ইত্যাদিতে বসবাস করে।
বেশিরভাগ জ্বিন সাপ এবং কুকুরের বেশে চলাফেরা করে। স্থান ভেদে এরা অন্য আকৃতি ও ধারণ করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এরা সাপ ও কুকুরের বেশ ধারণ করে থাকে বেশি। এজন্য সাপ দেখলে তিন বার বলা উচিৎ জ্বিন হলে চলে যাও যদি না যায় তখন বুঝতে হবে আসলেই সাপ। আর কুকুর হিসেবে এরা কাল কুকুরের বেশ ধারণ করে থাকে বেশি। আর হাদিসে কাল কুকুর কে শয়তান বলেই আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আপনার ঘরে বা বাড়িতে জ্বিনের বসবাস আছে কিনা যেভাবে বুঝবেনঃ
১। ঘরে রক্তের ছিটা পাওয়া।২। ঘরে পানির ছিটা পাওয়া। অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়া রক্ত এবং পানির ছিটা পাওয়া।
৩। লম্বা বা গোল আকারে কাপড় কাটা পাওয়া, অনেক সময় পরিধানের কাপড় চোখের সামনে ছিড়ে যাচ্ছে দেখতে পাওয়া।
৪। গোশতের টুকরা পাওয়া।
৫। আচমকা ভাবে ঘরের জিনিসপত্র পড়ে যাওয়া।
৬। ঘরের ভিতরে অজানা আওয়াজ শুনতে পাওয়া।
৭। ঘরের ভিতরে জিনিসপত্র ঘুছিয়ে রাখার পরেও উলট পালট দেখতে পাওয়া।
৮। ঘরের ছাদে বা টিনের উপর ঢিলের শব্দ হলে।
৯। যদি শিশু বাচ্চা রাত্রে কিছুক্ষন পর পর কান্নাকাটি করলে। তবে খেয়াল করবেন অসুস্থার জন্য কাঁদছে কিনা।
১০। বাড়িতে কোন সদস্য অস্বাভাবিক আচরণ করলে। যেমন মাথার চুল ছিড়া, মাটিতে শুয়ে লাফালাফি করা অথবা গুংরানোর আওয়াজ করা।
ঘরের বাহিরে যে লক্ষণগুলি পাবেনঃ
১। চলাফেরার ক্ষেত্রে ঝড় বৃষ্টি নেই পানির ছিটা নিজের উপরে পড়ছে এমন দেখা।২। পিচ্ছিল খেয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই অথচ আপনি পড়ে গেছেন।
৩। বাসার ছাদে মানুষ নেই অথচ মানুষের আওয়াজ পাওয়া ইত্যাদি।
Sunday, November 8, 2020
বিদেশ কিংবা দূর থেকে স্ত্রী বা প্রেমিকাকে বশে রাখুন।
এখন আপনাকে জানাবো ছোট একটি আমলের মাধ্যমে বিদেশ কিংবা দূরে থেকেও আপনার স্ত্রীকে বশে রাখতে পারবেন। আপনার এই ছোট আমলই আপনার স্ত্রীকে সচ্চরিত্র রাখতে বাধ্য করবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকেউ সচ্চরিত্রবান হতে হবে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে; যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির করবে; সে জান্নাতে যাবে।’এ গুণবাচক নামগুলোর আলাদা আলাদা আমল এবং অনেক উপকার ও ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْوَلِيُّ) ‘আল-ওয়ালিয়্যূ’ একটি। এ পবিত্র নামের আমলের মাধ্যমে অবাধ্য স্ত্রীকে সংশোধন করা যায়।
*যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْوَلِيُّ) ‘আল-ওয়ালিয়্যূ’-এর জিকির অধিক পরিমাণে করে; সে ব্যক্তি সৃষ্টি জগতের অন্তরের খবরাখবর অবহিত হতে পারে।
*যদি কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বা বাদি এমন বদ চরিত্রের অধিকারী হয় যে, তারা ওই ব্যক্তির কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সে যেন ওই স্ত্রী বা বাদির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় বা তার কাছে অবস্থান করে আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْوَلِيُّ) ‘আল-ওয়ালিয়্যূ’-এর জিকির অধিক পরিমাণে আদায় করে। এ নামের অধিক জিকিরের ফলে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় বদ স্বভাবের স্ত্রী বা বাদি সংশোধন হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর অবাধ্য স্ত্রীর স্বামীদেরকে বা অধিনস্থ অবাধ্য নারীদেরকে উক্ত আমলের মাধ্যমে সংশোধন করার তথা দ্বীনের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Saturday, November 7, 2020
মোটা নারীদের নিয়ে আপনাদের যতসব ভুল ধারণা।
মোটা নারীদের নিয়ে আপনাদের যতসব ভুল ধারণাঃ
আমরা সবাই মনে করি মোটা নারীদের যৌনজীবন সুখের হয় নাঃ
যৌনতা আমাদের সমাজে খুবই রাখঢাকের ব্যাপার হলেও এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। শেষ নেই এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনারও। এরই মাঝে একটা হলো মোটা নারীদের যৌনজীবন নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা। কোনো এক বিচিত্র কারণে প্রায় বেশির ভাগ মানুষেরই এই ধারণা যে, মোটা নারীদের যৌনজীবন সুখের হয় না। অথচ এটা একটা ভুল ধারণা। আর দশটা সাধারণ নারীদের মতোই তাঁদের যৌনজীবনও স্বাভাবিক ও সুখের হয়। এমনকি তাঁদের দাম্পত্যজীবনেও কোনো সমস্যা হয় না। বরং এক গবেষণায় দেখা গেছে চিকন নারীর থেকে মোটা নারীর যৌন জীবন সুখের হয় বেশি।মোটা নারীদের বুদ্ধিও মোটা হয়ঃ
আমাদের সমাজে এই ধারণাটা একেবারেই বদ্ধমূল যে, মোটা নারীদের বুদ্ধি কম থাকে! অথচ বুদ্ধি মোটেও শারীরিক গঠনের উপর নির্ভরশীল নয়। একজন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি তার মস্তিষ্কের গঠনের ওপর নির্ভরশীল। তাই মোটা নারীদের বুদ্ধিও মোটা হবে, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ধারণা।মোটা নারীরা বেশি খায়ঃ
অতিরিক্ত খাবার মানুষের মোটা হবার অন্যতম কারণ এটা সত্য, তবে সব মোটা মানুষই বেশি খায় না। অনেকেই আছেন যাঁরা হরমোনজনিত কারণে বা বংশগতভাবেই মোটা। তাই সব মোটা নারীরাই যে বেশি খায়, এটা মোটেও সত্যি কথা নয়।মোটা নারীরা অলস বেশি হয়ঃ
ভারী শারীরিক গঠনের জন্য মোটা নারীদের নড়াচড়া করা একটু কষ্টকর বটে, তবে তার মানে এই নয় যে তাঁরা অলস হন। অনেকেই আছেন যাঁরা প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করে থাকেন। শারীরিক পরিশ্রম করলে ওজন কমে বটে তবে সব ক্ষেত্রে নয়। যাঁরা হরমোনের সমস্যার কারণে মোটা হয়ে যান তাঁদের কায়িক পরিশ্রম করেও ওজন কমানো বেশ কঠিন। ফলে তাঁরা কাজ করলেও শারীরিক গঠনের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। তাই মোটা মাত্রেই যে অলস, এ কথাটি একেবারেই ভুল ধারণা।মোটা নারীদের কেউ ভালোবাসে নাঃ
সুন্দরের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরদিনের। সুন্দর শারীরিক গঠনের নারী ও পুরুষরা সবাইকে আকৃষ্ট করে সহজেই। তাই এ ধারণাটা আমাদের সমাজে বহুলভাবে প্রচলিত যে মোটাদের কেউ ভালোবাসে না। অথচ এটিও ভুল ধারণা। মোটা মানুষদের জীবনেও প্রেম আসে, তাঁদেরকেও কেউ না কেউ ভালোবাসে। বরং পুরুষরা প্রেম করার চিকন নারী খোঁজে আর বিয়ে করে মোটা নারী। বিশ্বাস না হলে মিলিয়ে দেখুন।মোটা নারীরা সৃজনশীল হয় নাঃ
প্রতিটি নারীই জন্মগত ভাবে সৃজনশীল ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে, কেউ কম কেউ বেশি। এই সৃজনীশক্তি কারোটা বিকশিত হয়, কারোটা হয় না। মোটা নারীদের সৃজনশীল হয় না এ কথা মোটেও ঠিক না। শিল্পকলার অনেক ক্ষেত্রেই অনেক মোটা মানুষ অবদান রেখেছেন। যেমন নায়িকা গায়িকা, চাকুরীজীবী সবখেত্রেই একটু লক্ষ্য করে দেখুন বেশিরভাগ নারীই কিন্তু মোটা। কাজেই তাঁদের ভারী শরীর কখনোই তাঁদের সৃজনশীলতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।জিন কি নারী ও পুরুষের সাথে সহবাস করে?
জিন কি নারী ও পুরুষের সাথে সহবাস করে?
কিন্তু এ ধরনের অভিমত সীমিত জ্ঞানের মানুষেরাই চিন্তা-ভাবনাবিহীন দায়িত্বজ্ঞান বর্জিত অভিমত ছাড়া আর কিছুই না। কারণ, এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতার মধ্যে যা কিছু নেই তা-ই সে অস্বীকার করবে এ ধরনের আচরণ অজ্ঞতার পরিচায়ক। তাই প্রথমে আমরা জিন-পরীর অস্তিত্ব আছে কিনা তার ওপরে আলোকপাত করবো; এরপর জিন-পরী ও মানুষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক বা সহবাস করে কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।
এ প্রসঙ্গে শুরুতেই উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি যে, কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর মধ্যে এরূপ ধারণা প্রচলিত আছে যে, মানুষ মারা গেলে তার আত্মা বা ব্যক্তিসত্তা ভুত-পেত্নীতে পরিণত হয় এটা একটা পুরোপুরি কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধারণা। কারণ, এর সপক্ষে কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই, বা কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে না। তবে জিন জাতি আছে এবং তারা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং মানুষের সাথে সহবাস করে এটা প্রমাণ করবো।
কোরআন মজীদে সুস্পষ্ট ভাষায় জিন্ প্রজাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে - মানুষকে মাটির উপাদানে সৃষ্টি করার মোকাবিলায় যাদেরকে আগুনের উপাদানে সৃষ্টি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে (সূরাহ্ আর্-রাহমান্ : ১৪-১৫)।
অনেকে মনে করেন যে, কোরআন মজীদে জিনকে আগুনের তৈরী বলতে এনার্জির তৈরী বুঝানো হয়েছে, কারণ, কোরআন নাযিলকালীন সময়ে এ ছাড়া আলাদাভাবে এনার্জির কথা বুঝানো সম্ভব ছিলো না। তাছাড়া আগুন ও এনার্জিতে তেমন একটা পার্থক্য নেই, কারণ, আগুন থেকে এনার্জি তৈরী হয় এবং এনার্জি আগুনে রূপান্তরিত হয়।
কোরআন মজীদে শয়তানকে - যার আসল নাম ইবলীস্ বা আযাযীল - জিনদের একজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে (সূরাহ্ আল্-কাহ্ফ্ : ৫০), আর সে কাফের জিনদের অন্যতম ছিলো (সূরাহ্ আল্-বাক্বারাহ্ : ৩৪) বিধায় আল্লাহ্ তা‘আলার হুকুম অমান্য করে হযরত আদম (‘আঃ)কে সিজদাহ্ করতে অস্বীকার করে।
এছাড়া একদল জিন কোরআন শোনার পর ইসলাম গ্রহণ করে - কোরআন মজীদে এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে (সূরাহ্ আল্-জিন্ : ১-২)। তেমনি হযরত সুলাইমান (‘আঃ) একদল জিনকে বায়তুল্ মুক্বাদ্দাস্ শহরকে সুন্দর করে গড়ে তোলার কাজে নিয়োগ করেছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর সৈন্যদের মধ্যে একদল জিনও অন্তর্ভুক্ত ছিলো (সূরাহ্ আন্-নামল্ : ১৭)। জিন্ প্রজাতি যে আগুন বা এনার্জির উপাদানে তৈরী হবার কারণে দ্রুত চলাচলক্ষম স্থিতিস্থাপক হাল্কা শরীরের অধিকারী তা-ও কোরআন মজীদ থেকে প্রমাণিত হয়। কারণ, ‘ইফ্রীত্ নামক জনৈক জিন্ হযরত সুলাইমানকে (‘আঃ) তাঁর আসন থেকে উঠে দাঁড়াবার আগেই সাবা’ থেকে রাণী বিলকীসের সিংহাসন তাঁর সামনে হাযির করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলো (সূরাহ্ আন্-নামল্ : ৩৯), যদিও সে এটা করার আগেই চোখের পলকের মধ্যে আরেক জন তা এনে হাযির করে। সুতরাং সামগ্রিকভাবে কোনো মুসলমানের পক্ষে জিন্ প্রজাতির অস্তিত্ব অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কোরআন দ্বারা জিন জাতির অস্তিত্ত প্রমাণিত। এবার আপনার কমেন্টের পালা।
এবার আসুন জানবো জিন কি নারী বা পুরুসের উপর আছর করে এবং তাদের সাথে কি সহবাস করেঃ
এবার আপনার কমেন্টের পালা। এখন আপনার যা খুশি তাই কমেন্ট করতে পারেন। তবে সত্যতা না জেনে বাজে মন্তব্য করবেন না। এই ব্যাপারে সত্যতা জানতে আরও খোঁজ খবর নিতে পারেন।
Sunday, October 25, 2020
সম্মানিত সুপ্রিয় পাঠক হিজড়াদের সাথে আমরা কম বেশী সবাই পরিচিত। কিছু মানুষ হিজড়াদের সাথে মজা করতে পছন্দ করে, কেউ আবার এড়িয়ে চলে। নারীদের ক্ষেত্রে তারা হিজড়াদের রীতিমত ভয় পায় বিশেষ করে তাদের অশোভন আচরণ এর কারণে। হিজড়ারা মূলত সমাজে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে না পেরে নিজেরা আলাদা সমাজ গড়ে তোলে। পরে সমাজ তাদেরকে বঞ্ছিত করেছে স্বাভাবিক জীবন থেকে এই ধারণা থেকে এসব অশোভন আচরণ করে থাকে। হিজড়াদের সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অনেকে আবার ভুল ধারণা পোষন করি। আসুন আজ জেনে নেব হিজরা হওয়ার কারণ সম্পর্কে। হিজড়া কি? কেন হিজড়া হয়? হিজড়া কত প্রকার? হিজড়ার কি চিকিৎসা সম্ভব? বিশেষকরে আরও জানতে পারবেন পিতামাতার কোন কোন ভুলের কারনে হিজড়া সন্তান জন্ম হয়। এছাড়াও আরও জানতে পারবেন হিজড়া সন্তান গর্ভে আসলে সেই সন্তান কি স্বাভাবিক বাচ্চায় রুপান্তরিত করা সম্ভব। প্রথমে আমরা হিজড়া সন্তান জন্ম নেওয়ার ব্যাপারে পবিত্র কোরআন কি বলে সেটা জানব। তারপর জানব হিজড়া সন্তান জন্মানোর ব্যাপারে বিজ্ঞান কি কি ব্যাখ্যা দিচ্ছে?? আশা করি আর্টিকেলটি টি আপনার জন্য দেখা উচিত। তো চলুন শুরু করা যাক।
হিজড়া সন্তান জন্ম হওয়ার ব্যাপারে হাদিস ও কোরআনের ব্যাখাঃ
হিজড়া শব্দটি এসেছে আরবী হিজরত বা হিজরী শব্দ থেকে যার আভিধানিক অর্থ পরিবর্তন বা Migrate বা Transfer। হিজড়া’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ উভয় লিঙ্গ (Common Gender), ইংরেজীতে একে ট্রান্সজেন্ডার (Transgender) বলা হয়।যদি সহজে বুঝতে চান হিজড়া কি তাহলে এতটুকু বুঝুন যে, একজন মানুষ যার শরীরটা পুরষের আর মনটা নারীর অথবা মনটা পুরুষের আর শরীরটা নারীর।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে।
জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে।
(মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)। প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
এখন জানবো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ
মানুষ যেমন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়, শ্রবণ প্রতিবন্ধী হয় তেমনি যৌন প্রতিবন্ধিও হতে পারে। হিজড়া’রা হচ্ছে যৌন প্রতিবন্ধী। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হয় মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম তার আকৃতি প্রকৃতি ঠিক করে। এর মধ্যে ২২ জোড়া ঠিক করে একটি শিশুর তাবৎ বৈশিস্ঠ্য আর একজোড়া বা ২টি ক্রোমোজোম ঠিক করে শিশু ছেলে না মেয়ে হবে। সে একজোড়া ক্রোমোজোম বাবার কাছ থেকে আসে XY আর মায়ের কাছ থেকে আসে XX। এই এক্স ও ওয়াই এর কম্বিনেশান জটিলতার কারণে শিশু হিজড়া হয়।
XX প্যাটার্ন ক্রোমোজমে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন ক্রোমোজমে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। অর্থাৎ, X এর সঙ্গে X এর মিলনে মেয়ে বা xx এবং X এর সঙ্গে Y এর মিলনে ছেলে সন্তান বা XY জন্ম নেয়। এবং ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম ।
এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হতে পারে যখনি এমনটা হয় তখনি শিশুর লিঙ্গ জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। সে হয়তো সঠিক লিঙ্গ পায়না, অথবা পুরুষ লিঙ্গ পেয়েও পুরুষত্ব পায়না আবার নারী লিঙ্গ পেয়েও নারীত্ব পায়না।
তখন এক্স ও ওয়াই এর কম্বিনেশান স্বাভাবিক হয়না, যেমন XXY অথবা XYY। বা XYX বা YXY এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।
হিজড়াদের প্রকারভেদঃ
আধুনিক জেনেটিক্স বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে হিজড়া হলো সেক্র ক্রোমোজমের ত্রুটিপূর্ণ বিন্যাস (Chromosomal Aberration) বা জিন জনিত জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধি ব্যাক্তি যাদের জন্ম পরবর্তী সঠিক লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়।
হিজড়াদের শারীরিক গঠন মূলত ৪ প্রকার। কিছু হিজড়া হলো যাদের মধ্যে নারী নারী জননাঙ্গ থাকে না। আবার কিছু হিজড়া হলো যাদের পুরুষের সকল বৈশিষ্ট্য থাকা সত্বেও পুরুষ জননাঙ্গ থাকে না। এছাড়া কিছু হিজড়ার উভয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কারো কোনোটাই থাকেনা। আর শারীরিক ও মানসিক গঠনের উপর নির্ভর করে এদেরকে ৬ ভাগে ভাগ করা যায়।
শারীরিক ভাবে পুরুষ কিন্তু মানষিক ভাবে নারী বৈশীষ্ট্য এর অধীকারী হিজড়াদের বলা হয় অকুয়া, ঠিক বিপরীত হিজড়াদের বলা হয় জেনানা, আর মানুষের হাতে সৃষ্ট বা ক্যাসট্রেড পুরুষদের বলা হয় চিন্নি।
হিজড়াদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনঃ
হিজড়া বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মানো কোন শিশুর যদি পরিনত বয়সে যাওয়ার আগে চিকিৎসা করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন আসলে বোঝা যায় সে সাধারন আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। এছাড়াও জন্মের পর বাড়ন্ত সময়ে শিশুর যখন অস্বাভাবিকতা বা হিজড়ার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়; তাহলে তৎক্ষণাৎ পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি সঠিক মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।
সঠিক অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়াদের লিঙ্গ সমস্যার সমাধান সম্ভব। মুসলিম রাষ্ট্র ইরানে সরকারি উদ্যোগে, অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়াদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। হিজড়া সম্প্রদায় সৃষ্টির সেরা জীব বা আশরাফুল মাখলুকাতের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মানুষের পর্যায়ভুক্ত, তারাও সৃষ্টির সেরা। তাদের অবজ্ঞা করা মানে আল্লাহর সৃষ্টিকেই অবজ্ঞা করা।
হিজড়াদের নিয়ে রাসুল (স) এর হাদীস রয়েছে। একজন হিজড়া পবিত্র ক্বাবাঘরের খাদেম এর দায়িত্ব পালন করেছেন বলে শোনা যায়। ভারতে হিজড়ারা ভাতাসহ নানা সুবিধা পায়। পায় একটি সংসদ সদস্যপদ। বাংলাদেশে হিজড়ারা দীর্ঘদিনে আন্দোলন করে ভোটাধিকার এবং তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সরকার তাদেরকে চাকরী বাকরী দেয়ার কথা ভাবছে। তবে তাদের জন্য সবচেয়ে বেশী যেটা প্রয়োজন সেটা হলো শিক্ষা। সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে তারা নিজেরাই তাদের অধিকার এবং কাজ খুঁজে নেবে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলেও সত্য যে, এদের মধ্যে কিছু লোক হিজড়াদের দিয়ে চাঁদাবাজী করানোর জন্য তাদেরকে বাইরের লোকদের সাথে মিশতে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে দিতে চায়না।
Thursday, September 10, 2020
পেত্নি কি সত্যি সত্যিই চড়চড় করে মানুষের শরীরে মুতে দেয়?
ভূত প্রেত্নির গল্প কম বেশি সবার কাছে প্রিয়। ছোটোবেলায় নানা-নানী, দাদা-দাদীর কাছে ভূতের গল্প শুনতে সবাই ভালোবাসে রীতিমতো ভয়ও পায়। ভয়ের মধ্যেও যেন এক ধরনের মজা আছে। ভূত দেখেছেন এমন লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়! সব মানুষই কম বেশি ভূত পেত্নী আছে বলে বিশ্বাস করে। ইচ্ছেমতো ভূত পেত্নি দেখা না গেলেও কিছু কিছু জায়গায় গেলে ভূত পেত্নি দেখা যায় বলে বিশ্বাস আছে। মানুষ ধারণা করে ভূতেরা সাধারণত ভাঙা পুরানো বাড়ি, গোরস্থান, শ্মশান, বট গাছ, গাব গাছ, শেওড়া গাছ, তাল গাছ, বাঁশ বাগান, বনের পুকুর পাড়ে প্রভৃতি জায়গায় বসবাস করে। কারণ এই জায়গাগুলোতে মানুষ কম যায়।
পেত্নী কিন্তু দেখতে চাইলেই দেখা যায় না। পেত্নী কি আসলেই আছে? যদি থাকে, তাহলে তারা কোথায় থাকে? তাদের দেখতে কেমন? তাদেরকে কি ধরা যায়? বাড়িতে আনা যায়? কখন তাদের দেখতে পাওয়া যায়?আবার অনেকেই বলে থাকেন পেত্নি গাছের ডালে দুই পা ফাক করে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ কেউ বলে পেত্নির চুল গাছ থেকে মাটিতে ঝুলে থাকে। রাতের বেলায় যদি কেউ ঐ গাছের তলা দিয়ে যায় তখন শয়তান পেত্নি চড়চড় করে তার মাথার উপর প্রসাব করে দেয়। কেউ কেউ বলে পেত্নির প্রসাব অত্যান্ত গন্ধ। আপনার কি কখনও এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে অথবা আপনি কি পেত্নি দেখেছেন। যদি দেখে থাকেন তাহলে এখনই কমেন্টের মাধ্যমে জানান। এখন আমরা ভূত পেত্নি সম্পর্কে আরও মজার মজার তথ্য জানবো তাই মনোযোগ দিয়ে ভিডিও টি দেখবেন। মোটেই স্কিপ করবেন।
বাংলা সংস্কৃতিতে ভূত পেত্নি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুরাতন এবং নতুন উভয় বাংলা রূপকথায় প্রায়ই ভূত পেত্নির ধারণা ব্যবহার করা হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যেও প্রায়ই ভূতের উদাহরণ পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয়, ভূত হল সেই সব অশরীরি আত্মা যারা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে শান্তি খুঁজে পায়নি (যাদের অতৃপ্ত আত্মাও বলা হয়ে থাকে) বা পৃথিবীতে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে (যেমন খুন, আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা)। এছাড়াও বিশ্বাস করা হয়, অন্যান্য জীবজন্তু বা প্রাণীও তাদের মৃত্যুর পরে ভূতে পরিণত হতে পারে। বাংলায় ভূতকে মাঝে মাঝে প্রেতাত্মা (সংস্কৃত) হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। প্রেতাত্মার নারীবাচক শব্দকে পেত্নী হিসেবে এবং পুরুষবাচক শব্দকে প্রেত বলা হয়ে থাকে।
পেত্নী হলো নারী ভূত যারা বেঁচে থাকতে কিছু অতৃপ্ত আশা ছিল এবং অবিবাহিতভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। পেত্নী শব্দটি সংস্কৃত প্রেত্নী শব্দ থেকে এসেছে (পুরুষবাচক শব্দ প্রেত)। এসব ভূত সাধারনত যে কোন আকৃতি ধারন করতে পারে, এমনকি পুরুষের আকারও ধারণ করতে পারে। এসব ভূত সাধারনত বেঁচে থাকতে কোন অপরাধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে এবং মৃত্যুর পর অভিশিপ্ত হয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করে। পেত্নীরা সাধারনত ভীষণ বদমেজাজী হয়ে থাকে এবং কাউকে আক্রোমনের পূর্ব পর্যন্ত স্পষ্টতই মানুষের আকৃতিতে থাকে। পেত্নীদের আকৃতিতে একটিই সমস্যা রয়েছে, তা হলো তাদের পাগুলো পিছনের দিকে ঘোরানো।
আপনি কি জানেন পেত্নি কত প্রকার ও কি কি। এখন জানবো বিভিন্ন প্রকার পেত্নির সম্পর্কে।
শাকচুন্নি: শাকচুন্নি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ শঙ্খচূর্ণী থেকে এসেছে। এটা হলো বিবাহিত মহিলাদের ভূত যারা বিশেষভাবে তৈরি বাঙ্গালি শুভ্র পোশাক পরিধান করে এবং হাতে শঙ্খ বা শাঁখা পরিধান করে। শাঁখা হলো বাঙ্গালি বিবাহিত হিন্দু মহিলাদের প্রতীক। শাকচুন্নিরা সাধারনত ধনী বিবাহিত মহিলাদের ভেতর ভর করে বা আক্রমণ করে যাতে করে তারা নিজেরা সেই মহিলার মত জীবন যাপন করতে পারে ও বিবাহিত জীবন উপভোগ করতে পারে। লোকগাঁথা অনুসারে তার আম গাছে বসবাস করে।
চোরাচুন্নিঃ চোরাচুন্নি অত্যন্ত দুষ্ট ভূত। এরা মানুষের অনিষ্ট করে থাকে। সাধারনত কোন চোর মৃত্যুবরণ করলে চোরাচুন্নিতে পরিনত হয়। পূর্ণিমা রাতে এরা বের হয় এবং মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়ে অনিষ্ট সাধন করে। এদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বাড়িতে গঙ্গাজলের (হিন্দু সংস্কৃতিতে গঙ্গা জলকে পবিত্র জল হিসেবে বিবেচনা করা হয়) ব্যবস্থা করা হয়।।
মেছোভূতঃ এ ধরনের ভূতেরা মাছ খেতে পছন্দ করে। মেছো শব্দটি বাংলা মাছ থেকে এসেছে। মেছো ভূত সাধারনত গ্রামের কোন পুকুর পাড়ে বা লেকের ধারে যেখানে বেশি মাছ পাওয়া যায় সেখানে বসবাস করে। মাঝে মাঝে তারা রান্নাঘর বা জেলেদের নৌকা থেকেও মাছ চুরি করে খায়। বাজার থেকে কেউ মাছ কিনে গাঁয়ের রাস্তা দিয়ে ফিরলে এটি তার পিছু নেয় এবং নির্জন বাঁশঝাঁড়ে বা বিলের ধারে ভয় দেখিয়ে আক্রমণ করে মাছ ছিনিয়ে নেয়।
নিশিঃ ভূতদের মধ্যে অন্যতম ভয়ংকর হলো নিশি। অন্যান্য ভূত সাধারণত নির্জন এলাকায় মানুষকে একা পেলে আক্রমণ করে, কিন্তু নিশি গভীর রাতে শিকারকে তার প্রিয় মানুষের কন্ঠে নাম ধরে ডাকে এবং বাইরে বেরকরে নিয়ে যায়। নিশির ডাকে সারা দিয়ে মানুষ সম্মোহিত হয়ে ঘরের দরজা খুলে বেরিয়ে পড়ে, আর কখনো ফিরে আসে না। মনে করা হয় তারা নিজেরাও নিশিতে পরিনত হয়। কিছু কিছু তান্ত্রিক অন্যের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য নিশি পুষে থাকে। লোককাহিনী অনুসারে নিশিরা কোন মানুষকে দুবারের বেশি ডাকতে পারে না, তাই কারো উচিত কেউ তিনবার ডাকলে বের হওয়া তাতে নিশির আক্রমণের ভয় থাকে না।
বেঘোভূতঃ এরা হলো সেইসব মানুষের আত্মা যারা বাঘের আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছে বলে বিশ্বাস করা হয়। সাধারনত সুন্দরবন এলাকায় এধরনের ভূতের কথা বেশি প্রচলিত কারণ বাঘের অভাশ্রম হলো সুন্দরবন। এসব ভুতেরা জঙ্গলে মধু আহোরনে আগত গ্রামবাসীদের ভয় দেখায় এবং বাঘের সন্নিকটে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে এরা গ্রামবাসীদের ভয় দেখানোর জন্য বাঘের স্বরে ডেকে উঠে।
ডাইনীঃ ডাইনী মূলত কোন আত্মা নয়, এরা জীবিত নারী। বাংলা লোকসাহিত্যে সাধারনত বৃদ্ধ মহিলা যারা কালো জাদু বা ডাকিনীবিদ্যাতে পারদর্শী তাদেরকেই ডাইনি বলা হয়ে থাকে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ডাইনীরা গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ধরে নিয়ে তাদের হত্যা করে এবং তাদের হাড়, মাংস ও রক্ত খেয়ে ১০০ বছর বেঁচে থাকে।।
কিন্তু বিজ্ঞান বলে ভিন্ন কথা। বিজ্ঞানের কাছে আগুনের পাঁচ পা দেখা, রাতে বট গাছে বিশাল লম্বা সাদা মানুষ দেখা, কবরস্থানের পাশ দিয়ে চলার সময় ঘাড় মটকে দেওয়া সবই কল্পনা। এগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। বিজ্ঞান মনে করে ভূতের অস্তিত্ব নেহাৎ একটি কাল্পনিক ব্যাপার। ভূত দেখার ঘটনা মন বা চোখের বিভ্রম ছাড়া কিছুই না। কোনো জিনিসকে অবিকল যা আছে তা আমরা নাও দেখতে পেতে পারি, যদি আমাদের মন ও চোখ তাকে গুরুত্ব না দিয়ে ভিন্ন কিছু দেখতে বা ভাবতে চায়।
মরুভূমিতে যে মরীচিকা দেখা যায় সেও এক রকম চোখের বিভ্রম। জলের পিপাসা যখন বেশি পায় তখন বিশাল মরুভূমিকে সামনে দেখেও আমাদের মনে হয় যেন বিশাল পুকুর।
এক ধরনের বিভ্রমকে বলা হয় মতিভ্রম বা মায়া। ইংরেজিতে একে বলে হ্যালুসিনেশন। এই মতিভ্রম যখন ঘটে তখন মনের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে আমরা যা দেখার নয়, তাই দেখি। তাই, বিজ্ঞানীরা মনে করেন বাস্তবে ভূত পেত্নী বলে কিছু নেই। যা আছে তা পুরোটাই আমাদের মনের বিভ্রম।
এখন আপনার মন্তব্যের পালা। আপনি কি নিজের চোখে ভূত পেত্নি দেখেছেন। দেখে থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানান। আর আপনি যদি ভূত প্রেতে বিশ্বাস না করে থাকেন তাহলে সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ভিডিও টি যদি ভালো লাগে তাহলে সিমপ্লি একটা লাইক দিন। আর আপনি যদি এমনই রহস্যময়, রোমাঞ্চকর, অদ্ভুত, অলৌকিক, ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন তাহলে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল বাটনটি বাজিয়ে দিন। আগামীতে আরও সুন্দর ভিডিও পাওয়ার অপেক্ষায় সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও টি দেখুনঃ