অ্যাডাম স্মিথঃ
Adam smith-http://www.topbanglapages.com/ |
১৪ বছর বয়সে স্মিথ গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, সেখানে তিনি ফ্রান্সিস হাচিসনের অধীনে দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় ও তাঁর সহকর্মী স্কটল্যান্ডের জন স্নেল কর্তৃক চালু হওয়া বৃত্তি প্রাপ্ত প্রথম ছাত্র ছিলেন। এই গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়েই অধ্যাপনাকালীন সময়ে তিনি "The Theory of Moral Sentiments" রচনা করেন। পরবরতী জীবনে তিনি সমগ্র ইউরোপ পরিভ্রমণ করেন এবং এসময়ে তিনি তৎকালীন সময়ের বুদ্ধিজীবী নেতাদের সান্নিধ্য লাভ করেন। স্মিথ তাঁর নিজের সময়ে বিতর্কিত ছিলেন। তাঁর সাধারণ লিখন পদ্ধতি ও শৈলীর কারণে তিনি প্রায়ই উইলিয়াম হোগার্থ কর্তৃক সমালোচিত হয়েছেন। তবে, ২০০৫ সালে অ্যাডাম স্মিথ রচিত "The Wealth of Nations" বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ স্কটিশ বইয়ের তালিকায় স্থান পায়। বলা হয়ে থাকে,সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার স্মিথের লিখা এই বই সর্বদা হাত ব্যাগে বহন করতেন। এই মহান অর্থনীতিবিদ ১৭ জুলাই ১৭৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
পল অ্যান্থনি স্যামুয়েলসনঃ
Paul Samuelson-http://www.topbanglapages.com/ |
পল অ্যান্থনি স্যামুয়েলসনের জন্ম মে ১৫, ১৯১৫ সালে গ্যারি, ইন্ডিয়ানা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।স্যামুয়েলসন ১৯৩৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৬ সালে স্নাতকোত্তর ও ১৯৪১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৪০ সালে ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৪৭ সালে পূর্ণ অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং প্রেসিডেন্ট জনসন এর অর্থৈনতিক উপদেষ্টা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত ফাউন্ডেশন্স অভ ইকোনমিক অ্যানালিসিস "Foundations of Economic Analysis" নামের গ্রন্থটি তাঁর জীবনের সেরা কাজ।বিখ্যাত এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ ১৯৭০ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয় লাভ করে। এই মহান অর্থনীতিবিদ ১৫ই ডিসেম্বর ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
জন মেনার্ড কেইনসঃ
John Maynard Keynes-http://www.topbanglapages.com/ |
জন মেনার্ড কেইনস ছিলেন একজন প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ। তিনি ৫ জুন ১৮৮৩ সালে লন্ডনের ক্যামব্রিজ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।তার মতবাদ আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতির তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধনের পাশাপাশি সরকারি অর্থনৈতিক নীতিগুলিতেও গভীর প্রভাব বিস্তার করে। তিনি ব্যবসায়িক চক্রের অনুঘটকসমূহের ওপর পূর্বের কাজগুলোর প্রভূত উন্নতিসাধন করেন। তিনি অর্থনৈতিক মন্দার ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য বাজার ব্যবস্থা ও মুদ্রাব্যবস্থার প্রয়োগের পক্ষে মত দেন।
১৯৩০ এর দশকে কেইনস অর্থনৈতিক চিন্তাধারায় এক বিপ্লবের সূত্রপাত করেন, যা অর্থনীতির পুরোনো ধারণাগুলোকে খন্ডন করে, যেখানে মনে করা হতো যে মুক্ত বাজারব্যবস্থা স্বল্প থেকে মাঝারি মেয়াদে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূর্ণকর্মসংস্থান প্রদান করবে, শ্রমিকরা যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের মজুরির ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকবে।
কেইনস'কে আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতির অন্যতম একজন জনক ও বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন কেইনস কে বিংশ শতাব্দীর ১০০ সবচেয়ে গুরুতপূর্ণ ও প্রভাবশালী ব্যাক্তির তালিকায় স্থান দেয় । এই মহান অর্থনীতিবিদ ২১ শে এপ্রিল ১৯৪৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
0 coment rios: