মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২

দৌলতদিয়া পতিতালয়ের অজানা কিছু তথ্য ফাঁস হল।

প্রিয় বন্ধুরা আজকে দৌলতদিয়া পতিতালয়ের রহস্য উন্মোচন করবো। এই ভিডিও তে জানতে পারবেন দৌলতদিয়া পতিতালয়ের পতিতার সংখ্যা কত। তাদের দৈনিক আয় কত। এখানে কোন ধরণের মানুষ বেশি যায়। এখানে কোন কোন সিন্ডিকেট কাজ করে। এদের কারণে সাধারণ পাবলিকের কেন ভোগান্তি পেতে হয়। আপনি কি জানেন এদের জন্য প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যায়। কিভাবে মারা যায় কেন মারা যায়। এর পেছনে কোন কোন নেতা কাজ করে।
এই অন্ধকার জগতের  রহস্য কি? আরও নানা প্রশ্নের উওর পাবেন আজকের এই ভিডিও এর মাধ্যমে। কাজেই ভিডিও টি কন্টিনিউ করতে থাকুন। দৌলতদিয়া এক অন্ধকার জগতের নাম। অতি সাধারণ মানুষের এই জায়গাটির সম্পর্কে ধারণা নেই বললেই চলে। 

দৌলতদিয়া পতিতালয়ের অজানা কিছু তথ্য ফাঁস হল।
 
আপনি কি জানেন? বাংলাদেশের সর্ববৃহত এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পতিতালয় হল দৌলতদিয়া। দৌলতদিয়া ঘাটটি রাজবাড়ী জেলার অর্ন্তগত গোয়ালন্দ উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
দৌলতদিয়ায় ‘মুক্তি মহিলা সমিতি’ নামে পতিতাদের একটি রেজিষ্টার্ড সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে এই পতিতালয়ে পতিতার সংখ্যা প্রায় চার হাজার। এখানে প্রায় তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ বাড়ীওয়ালী রয়েছে।  এই সব বাড়ীওয়ালীর আন্ডারে সর্বোনিন্ম ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন করে পতিতা রয়েছে।
 
এই সব বাড়ীওয়ালীর প্রতিদিনের সর্বনিন্ম আয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। অবস্থাশালী বাড়ীওয়ালীদের আয় দিনে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। মদ, গাঁজা, হেরোইন থেকে শুরু করে সকল প্রকার মাদক ব্যবসা এখানে ওপেন-সিক্রেট। এই পতিতালয়ের প্রধান ক্লায়েন্ট হচ্ছে মটর শ্রমিকরা, ট্রাক/বাস ড্রাইভাররা। ৪ পাঁচ ঘন্টার জ্যামে পড়লে হেলপারকে গাড়ীর ষ্ট্রেয়ারিং-এ বসিয়ে দিয়ে পতিতালয়ে চলে আসেন। অন্যান্য ধরণের ক্লায়েন্টও এখানে কম নয়।

কারন এখানে পতিতালয় এবং ঘাট থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। এখানে ঘাট না থাকলে পতিতালয় কেন্দ্রীক যাদের আয় তাদের কি হবে? শুধুমাত্র পদ্মাসেতু এই ঘাট দিয়ে নির্মাণ বন্ধ করলেই তো হবে না।

ঘাটে কৃত্রিম যানযটও তৈরি করতে হবে। কারন মটর শ্রমিকরাই মূলত দৌতলদিয়া পতিতালয়ের প্রধান কাষ্টমার। শীতকালে ফেরী বন্ধ করে এবং গরমকালে ঘাটের গুটি কয়েক নেতা বা পতিতালয়ের দালাল নিজেদের বাস-ট্রাক দিয়ে কৃত্তিম জ্যাম তৈরি করে পতিতালয়ের ক্লায়েন্ট জোগাড় করা হয়।
 
এই রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতৃবৃন্দ বর্তমানে এক ধাপ এগিয়ে আছেন অবৈধ আয়ে। তারা বর্তমানে দৌলতদিয়া এলাকার দু’একজন প্রভাবশালী লোকের মাধ্যমে। সকল প্রকার টোল আদায়সহ সকল প্রকার কু-কর্ম সম্পাদনের দায়িত্ব অপর্ণ করেছেন। বর্তমানে তারা এতোই ক্ষমতাশালী হয়েছেন যে, থানার ওসি থেকে শুরু করে জেলার এস.পি পর্যন্ত বদলী করার ক্ষমতা তারা রাখেন। প্রতিদিনের পেমেন্ট ছাড়াও তাদেরকে মাসে কোটি কোটি টাকা প্রদান করতে হয় উপর মহলে।
যে লোকটি এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ঘাটের এই কৃত্রিম যানযটে পড়ে মারা গেলেন। তিনি বা তার আত্মীয় স্বজনরা কি জানেন? এর জন্য দায়ী এই পতিতালয়ের দালালেরা? বাংলাদেশের পশ্চিম অঞ্চলের ২১ টি জেলার মানুষ যারা ঢাকায় আশা যাওয়া করেন । তারা কি হিসাব করেছেন পতিতালয়ের দালালেরা আপনার জীবনের কত ঘন্টা কেড়ে নিয়েছে?

শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

0 coment rios: