প্রারম্ভিকঃ
প্রাচীনকালে টাইম নির্ধারণ করার মত তেমন কোন উপায় বা পদ্ধতি ছিল না । তখকার মানুষ সূর্যের উপর নির্ভর করে দিন রাতের অবস্থা নির্ণয় বা নির্ধারণ করত। তারা সূর্যকে অনুসরণ করেই সমস্ত কার্যকলাপ সম্পাদনা করত। কিন্তু অফিস,আদালত ও বিভিন্ন জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয় তাছারা সময়টাকে সঠিক ভাবে ভাগ করতে না পারলে মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতগ্রস্থ হয়।
এ সকল অভাববোধ থেকেই আধুনিক কালে ঘড়ির প্রয়োজনীয়তা পড়ে।যার ফলে আধুনিক কালে ঘড়ি ব্যবহারের প্রচলন ব্যাপক বৃদ্ধি হতে থাকে। এমনও সময় দেখা গেছে যে,অধিকাংশ অফিস, আদালত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘড়ির বাবহার বেশ জনপ্রিয় হতে থাকে। তাছারাও অধিকাংশ মানুষই সময় নির্ধারণ করার জন্য ব্যবহার করছে হাত ঘড়ি।তবে অত্যাধুনিক যুগে এসে মোবাইল বাবহারের ফলে ঘড়ি ব্যবহারের প্রচলন টা বেশ কমে গেছে। তারপর ও ভাল ভাল দামি ঘড়ি হাতে ব্যবহার করার মধ্যে অনেকেই গর্ববোধ মনে করেন।
তবে আজকে আপনাদের এমন একটি খবর জানাবো তা শুনলে আপনাদের চোখ কপালে উঠে যাবে।
10 হাজার বছর ধরে চলবে একটা ঘড়ি। এই কথাটি হয়তবা আপনার কাছে বিশ্বাস হচ্ছে না তবে আসলে
10 হাজার বছর ধরে চলবে একটা ঘড়ি। এই কথাটি হয়তবা আপনার কাছে বিশ্বাস হচ্ছে না তবে আসলে
এটা সত্য ঘটনা। আসুন জানব এই ঘড়িটির বিস্তারিত কাহিনী।
কিম্ভূতকিমাকার এই ঘড়িটি দেখতে হবে 500ফিট লম্বা। এই ঘড়িটির তিনটি কাটা রয়েছে। তিনটি কাটার মধ্যে একটি কাটা এক বছরে একবার নড়বে আরেকটি কাটা প্রতি100বছরে একবার নড়বে ও আরেকটি কাটা প্রতি এক হাজার বছরে নড়বে। এই ঘড়িটি অ্যামেরিকার লং নাউ ফাউন্ডডেশন নামক সংস্থা তৈরি করছে। এই ঘড়িটি অ্যামেরিকার টেক্সাসের একটি পর্বতের নিচে স্থাপন করা হবে।
জেফ বেজোস এই দানবাকৃতির ঘড়িটিকে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তার ফসল হিসেবে দেখতে চান। এই ঘড়িটির বিশেষত্ব হলো ঘড়িটি পৃথিবীর থার্মাল শক্তিতে চলবে। অর্থাৎ পৃথিবীর জলবায়ুর বৃত্তের সাথে সাথে ঘড়িটিও চলবে।
বেজোসের টুইটার একাউন্টের একটি ছবিতে দেখা যায় ঘড়িটি নির্মাণের কলাকৌশল। যেখানে অজস্র ইঞ্জিনিয়ার এবং কুশীলব বিশাল সব হুইল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। প্রজেক্টের নাম দেয়া হয়েছে, টেন মিলেনিয়াম ক্লক। এই ঘড়ির প্রথম আইডিয়াটি ড্যানি হিলিস (প্রতিষ্ঠাতা- থিংকিং ম্যাশিনস) এর মাথা থেকে বের হয় সেই 1989 সালে। পরবর্তীতে বেজোস এর ফান্ডিং করবেন বলে ঠিক করেন।
সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো এই বিশাল ঘড়িটি নির্মাণের সম্পূর্ণ কাজ হচ্ছে একটি পাহাড়ের ভেতরে। ঘড়িটি নির্মাণের পরেও আগ্রহী দর্শণার্থীদের 2000 ফিট পাড়ি দিয়ে উপরে উঠতে হবে। বেজোস কি পৃথিবীর সাথে একটা বড় ইয়ার্কি করছেন নাকি এটা তার নিছক খেয়াল তা অবসরে ভাববার বিষয়।
0 coment rios: