বুধবার, ২ মে, ২০১৮

বিশ্ব বিখ্যাত ৫ জন চিত্রশিল্পীর জীবনী।

 বিশ্ব বিখ্যাত ৫ জন চিত্রশিল্পীর জীবনীঃ

 ১.পাবলো পিকাসোঃ

বিশ্ব বিখ্যাত ৫ জন চিত্রশিল্পীর জীবনী,পাবলো পিকাসোর জীবনী

১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে অক্টোবর স্পেনের শহর মালাগায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম ছিল মারিয়া পিকাসো ই লোপেজ এবং পিতার নাম খোসে রুইজ ব্লাস্কো। কথিত আছে পিকাসো ভুমিষ্ট হওয়ার পর ধাত্রী ভেবেছিলেন মৃতশিশুর জন্ম হয়েছে। এই কারণে ধাত্রী শিশুটিকে একটি টেবিলের উপর রেখে তার মায়ের সেবায় ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় পিকাসোর চাচা এগিয়ে এসে মুখে থাকা সিগারেটের ধোঁয়া শিশুটির মুখে নিক্ষেপ করেন। এরপর পিকাসো নড়েচড়ে উঠেন। পিকাসোর ছবি আঁকায় হাতে খড়ি হয় তাঁর পিতার কাছে। উল্লেখ্য তাঁর পিতা ছিলেন স্থানীয় চিত্রকলা বিদ্যায়তনের প্রশিক্ষক। শিক্ষানবীশকালে তাঁর আঁকা প্রথম ছবিটি হলো "The picador"। এই ছবিটি তিনি এঁকেছিলেন ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে। 

পিকাসো ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ইউরোপের শিল্প-সাংস্কৃতিক রাজধানী প্যারিসে এলেন। তিনি তাঁর প্যারিসের একজন বন্ধু ম্যাক্স জেকব-এর সাথে দেখা করলেন। জ্যাকব ছিলেন সাংবাদিক এবং কবি। এই বন্ধুর কাছে তিনি ফরাসি ভাষা এবং সাহিত্যের সাথে পরিচিত হলেন। একসময় তাঁরা একত্রে একটি বাসা নিলেন। অর্থের সাশ্রয়ের জন্য একটি বাসা ভাগাভাগি করে তাঁরা বাস করতেন। জেকব রাতে ঘুমাতেন আর দিনে কাজ করতেন। অন্যদিকে পিকাসো রাতে কাজ করতেন, আর দিনে ঘুমাতেন। এই সময় উভয়ের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, পিকাসোর অনেক কাজ আগুনে পোড়াতেন ঘর গরম রাখার জন্য। এর ভিতরে যে চিত্রকর্মগুলো টিকে গিয়েছিল, তার সংখ্যাও কম নয়। ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর ভিতরে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল। সেখান থেকে পুরো বেরিয়ে আসতে পারেন নি এই বৎসরে। এই সময় পিকাসো কিছু অভিব্যক্তিবাদী ছবি এঁকেছেন। এই জাতীয় ছবিকে চিত্র-সমালোচকরা নাম দিয়েছেন অন্তর্মুদ্রাবাদী-উত্তর চিত্র। এই জাতীয় ছবির সাথে তিনি প্রতীকধর্মী মাত্রা যুক্ত করার কাজ করেছেন এই বৎসরেই। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই এপ্রিল ৯১ বছর বয়সে ফ্রান্সের মুগী শহরে তিনি মৃতুবরণ করেন।

২.লিওনার্দো দা ভিঞ্চিঃ 

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জীবনী,বিশ্ব বিখ্যাত ৫ জন চিত্রশিল্পীর জীবনী

ইতালিতে ফ্লোরেন্স শহরের কাছে ভিঞ্চি বলে একটি গ্রাম আছে । সেই গ্রামে ১৪৫২ খ্ৰীষ্টাব্দে লিওনার্দোর জন্ম হয়। তার নামের সঙ্গে ওই ছোট গ্রামটির নামও জগৎ-বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। এতটুকু বয়স থেকেই নানা দিকে তাঁর প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যেতে লাগল। কোনো একটা বিষয় নিয়ে পড়লে তিনি কিছুদিনের মধ্যেই তাতে রীতিমতো পারদর্শী হয়ে উঠতেন। কিন্তু তার পরেই তিনি সে বিষয়টিকে ছেড়ে দিয়ে অন্য আর এক বিষয়ের চর্চা শুরু করতেন। কেবল সারা জীবন ধরে তিনি একটি বিষয় সম্বন্ধে একনিষ্ট উৎসাহের পরিচয় দিয়ে গিয়েছেন — সেটি হল চিত্ৰকলা। ইতালিতে তখন ভেরোচ্চিও বলে একজন চিত্রকর ছিলেন। খুব তার নামডাক। বালক লিওনার্দো তাঁরই কাছে শিক্ষানবিশি করেছিলেন। গুরুদেব ভাবলেন, বালক লিঅনার্দেকে একটুখানি সুযোগ দেওয়া যাক। লিওনার্দোকে বললেন, ওই বড়ো ছবির এক জায়গায় একটি পরী আঁকতে। তার পরীটি আঁকা যেদিন শেষ হল, সেদিন সকলে একেবারে স্তম্ভিত। ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কারুরই আর যেন নিঃশ্বাস পড়ে না, এমন অপরূপ। ভেরোচ্চিও দেখলেন, অতটুকু ছেলে যে রকম ছবি এঁকেছে তা তিনি নিজে কোনোদিনই আঁকতে পারবেন না। তাই তারপর তিনি জীবনে আর কখনো তুলি বুরুশ হাতে নেন নি। লিওনার্দোর সবচেয়ে বিখ্যাত ছবিটির নাম কে না জানে। মোনালিসা। মাপ জোকের দিক থেকে ছবিটি খুব বড় নয়। তিন ফুট উঁচু আর দু ফুট চার ইঞ্চি চওড়া। একটি মহিলার ছবি — তাঁর মুখে একটা অদ্ভুত হাসি। এ হাসির মানে যে ছিল কী, তা ভাবতে ভাবতে সকলেই বিস্মিত হয়ে যায়। পটভূমিতে এক টুকরো প্রাকৃতিক দৃশ্য। কিন্তু তার পুরোটাই হল ছবির মহিলাটির মনের ভাবটিকে ফুটিয়ে তোলবার জন্যে।

হৈ চৈ পড়ে গেল সারা ইতালিতে। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি! আবির্ভাব হয়েছে এক আশ্চর্য শিল্পীর। মিলান শহর থেকে আমন্ত্ৰণ এল। সেইখানে তিনি তার “লাস্ট সাপার” বলে বিখ্যাত ছবিটি এঁকেছিলেন। কিন্তু তড়িঘড়িতে ছবি এঁকে ফেলা তার ধাতে ছিল না। মিলান-এ গিয়ে তিনি খান দান, ঘুরে বেড়ান। একদিন যেখানকার ডিউক তঁকে বললেন, ব্যাপার কী — অনর্থক সময় নষ্ট করছেন কেন? জবাবে লিওনার্দো শান্ত গলায় বললেন, ছবিটি শুরু করার আগে ছবির প্রত্যেকটি মুখ স্পষ্টভাবে ভেবে নেওয়া দরকার। কিন্তু জুডাস এর মতো একটা মুখ ভেবে ঠিক করা বড় কঠিন। প্রভূ যীশুর কাছ থেকে অত সাহায্য পাওয়া সত্ত্বেও যে লোক শেষ পর্যন্ত যীশুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তার মুখটা ভাবতে পারা তো সহজ কথা নয়। তবে আপনার সময় বাঁচাবার জন্য ভাবছি, স্থানীয় প্রধান পুরোহিতের মুখটিকেই জুডাসের মুখ হিসাবে ব্যবহার করে ছবিটা শুরু করে ফেলি। এই শান্ত বিদ্রুপের দরুণ ডিউকের মুখ একেবারে চুন। বুঝলেন কাজ নেই ঘাঁটিয়ে। যখন খুশি ছবি আঁকলেই হবে। সমঝদাররা বলেন, এইখানেই লিওনার্দোর প্রতিভার আসল পরিচয়। বাইরের পৃথিবীর চেয়ে মানবজগতের খবর দেওয়াই তার ছবির আসল উদ্দেশ্য। আর, মানুষের মন যে কী অপরূপ, কী বিচিত্র যে সম্বন্ধে আমরা চমকে সচেতন হই মোনালিসার ছবি দেখতে দেখতে।এই মহান চিত্রশিল্পী ১৫১৯ সালে ২রা মে  ফ্রান্সে মৃত্যুবরণ করেন।

৩.ভিনসেন্ট ভ্যান গগঃ

বিশ্ব বিখ্যাত ৫ জন চিত্রশিল্পীর জীবনী,ভিনসেন্ট ভ্যান গগের জীবনী

ভিনসেন্ট উইলিয়াম ভ্যান গখ  ৩০ মার্চ ১৮৫৩ সালে নেদারল্যান্ডের বেরাইড শহরের কাছে গ্রুট জুন্ডার্থ নামে একটি ছোট গ্রামেরে একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মের পর পিতামহের নামে তার নাম করা করা হয়। সেই সময়ে পূর্বপুরুষদের নামের নবজাতকের নামকরনের প্রচলন ছিল। শৈশবে তিনি শান্ত স্বভাবের ছিলেন। ১৮৬০ সালে তিনি জুন্ডার্থ গ্রামের একটি স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুলে মাত্র একজন ক্যাথলিক শিক্ষক ২০০ জন ছাত্রকে লেখাপড়া করাতেন। একজন প্রধান পোস্ট-ইমপ্রেশনিজ্‌মবাদী ওলন্দাজ চিত্রশিল্পী। রুক্ষ সৌন্দর্যের এবং আবেগময় সততার প্রকাশ, সপ্রতিভ রং এর ব্যবহারের কারণে তাঁর কাজ বিখ্যাত ছিল যা বিংশ শতাব্দীর শিল্পকলায় সুদূরপ্রসারি প্রভাব রেখেছিলো। তিনি ছোট বয়স থেকেই আঁকাআঁকি শুরু করেন। কিন্তু মধ্য বিশের পরে তিনি চিত্রকর্ম আঁকা শুরু করেন অসংখ্য বিখ্যাত চিত্রকর্ম তাঁর জীবনের শেষ দুই বছরে আঁকা। প্রতিকৃতি, প্রাকৃতিক দৃশ্য, সূর্যমুখী ফুল, গমের ক্ষেত ইত্যাদি তাঁর আঁকার বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল। ১৮৭৯ সাল থেকে তিনি বেলজিয়ামের একটি খনির অঞ্চলে একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে কাজ করেন যেখানে তিনি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মানুষের স্কেচ করতে শুরু করেন। ১৮৮৫ সালে তিনি তাঁর প্রথম প্রধান কাজ আলু খাদক আঁকেন। তাঁর তখনকার কাজগুলো প্রধানত গুরুগম্ভীর ছিলো এবং কোনো প্রগাঢ় রঙের চিহ্ন ছিলো না যা তাঁর পরবর্তী কাজগুলো থেকে আলাদা। মাত্র এক দশকে তিনি ২,১০০-এর বেশি চিত্রকর্ম আঁকেন, যার মাঝে ৮৬০টি তৈলচিত্র এবং ১,৩০০-এর বেশি জল রং, অঙ্কন, নকশা এবং চিত্র ছিলো। কুৎসিত মুখাকৃতির ও জীবনের প্রতি প্রবল হতাশায় ভুগে ১৮৯০ সালের ২৯ জুলাই মাত্র ৩৭ বছর বয়সে রিভলভার দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

৪.সালভাদর দালিঃ

সালভাদর দালির জীবনী,বিশ্ব বিখ্যাত ৫ জন চিত্রশিল্পীর জীবনী

সালভাদর দালি পরাবাস্তববাদী ধারার জগদ্বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। পুরো নাম সালভাদর দোমিঙ্গো ফেলিপ জ্যাকিন্তো দালি ই দোমেনেক। ১৯০৪ সালের ১১ মে স্পেনে জন্ম। ১৯২২ সালে দালি মাদ্রিদের রেসিডেন্স দ্য স্টুডেন্টের ফাইন আর্টস বিভাগে যোগ দেন। এখানেই তাঁর পরিচয় ঘটে স্পেনের বিখ্যাত কবি ও নাট্যকার ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা ও চলচ্চিত্রকার লুই বুনুয়েলের সঙ্গে। দালি-বুনুয়েল মিলে তৈরি করেন দুটি সুররিয়ালিস্ট চলচ্চিত্র। ১৯২৫ সালে দালির প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী হয় বার্সেলোনায়। সেখান থেকেই শুরু সাফল্যের যাত্রা। পরে প্যারিসে গিয়ে তিনি দাদাইজম ও সুররিয়ালিস্ট ধারার কাজের সঙ্গে পরিচিত হন। এ সময় পাবলো পিকাসোর কাজ দ্বারাও প্রভাবিত হন দালি। জলরং, তেলরং, ড্রইং, লিথোগ্রাম, কোলাজ, কাচ ও ক্রিস্টাল পাথর প্রভৃতির মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। স্বপ্ন, কল্পনা, নির্মোহ বাস্তবতা ও মানুষের মনোজগৎ বিশ্লেষণে দালির ছবি আজও জগদ্বিখ্যাত। তাঁর নবিলিটি অব টাইম, প্রোফাইল অব টাইম, পারসিসটেন্স অব মেমোরিকে বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুররিয়ালিস্ট ছবির তালিকায় রাখা হয়। 'দ্য পারসিসটেন্স অব মেমোরি' তিনি আঁকেন ১৯৩১ সালে। দালির জীবনে তাঁর স্ত্রী গালার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দালি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালের ২৩ জানুয়ারি এই মহান শিল্পী মারা যান।

৫.ফ্রান্সিস্কো গোয়াঃ

বিশ্ব বিখ্যাত ৫ জন চিত্রশিল্পীর জীবনী,ফ্রান্সিস্কো গোয়ার জীবনী

ফ্রান্সিস্কো হোসে দে গোয়া ই লুসিয়েন্তেস ৩০ মার্চ ১৭৪৬ সালে স্পেনের এরাগন শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম জোসে বেনিটো ডি গয়া ফ্র্যঙ্ক এবং মাতার নাম গ্রাসিয়া ডি লুসিয়েন্টেস সালভেদর। গয়ার পিতা ছিলেন একজন স্পেনিয় আদিবাসী। ফ্রান্সিসকো গয়া ছিলেন একজন স্প্যানিশ রোমান্টিক চিত্রকর ও প্রিন্টপ্রস্তুতকারক। চিত্রকলার ওল্ড মাস্টার যুগের শেষ ও আধুনিক যুগের প্রথম চিত্রকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি স্প্যানিশ রাজার দরবারের একজন রাজচিত্রকর ছিলেন। তার চিত্রগুলোর ভিতর দিয়ে একইসঙ্গে তার যুগের ঘটনাবলী ও সেসব ঘটনার বিশ্লেষণ ফুটে উঠে। তার শিল্পচর্চার রীতিবিরুদ্ধ কল্পনাপ্রয়াসী উপাদান ও একই সঙ্গে রং-এর সাহসী ব্যবহার পরবর্তী প্রজন্মের চিত্রকর যেমন এদুয়ার মানে, পাবলো পিকাসো, ও ফ্রান্সিস বেকনের নিকট আদর্শ হিসেবে কাজ করেছে। ১৭৮৩ সালে স্পেনের রাজা তৃতীয় চার্লস তার পোর্টেট তৈরী করার জন্য গয়াকে নিয়োগ করেন। সেই সময় ক্রাইন প্রিন্স ডন লুই এর সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ১৭৮৬ সালে রাজা তাকে বেতনভোগী রাজচিত্রকর হিসাবে নিয়োগ দেন। রাজা চতুর্থ চার্লসের সময়ে তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ সম্মানজনক অবস্থানে পৌছান। ১৮০৮ সারে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী নেপোলিয়নের ভ্রাতা প্রথম জোসেফের নের্তৃত্বে স্পেন আক্রমণ করলে পেনিনসুলা যুদ্ধ শুরু হয়। গোয়া নতুন রজার দরবারেও তার স্থান করে নেন। ১৮১৪ সালে স্পেনের রাজা সপ্তম ফার্ডিনান্ড পুনরায় সিংহাসন ফিরে পেলে গোয়া ফ্রান্সদের সাথে কাজ করা থেকে বিরত থাকেন। ১৮১২ সালে তার স্ত্রী জোসেফা মারা যান। ফ্রান্সিসকো গয়া ১৬ এপ্রিল ১৮২৮ (৮২ বছর)বয়সে বোর্দেক্স, ফ্রান্সে মারা যান।

বিস্তারিত ভিডিও টির মাধ্যমে দেখুনঃ


শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

0 coment rios: