বুধবার, ২ মে, ২০১৮

২৫৬ বছরে ২৩ বার বিয়ে করে ২০০ সন্তানের জননী।

 ২৫৬ বছরে ২৩ বার বিয়ে করে ২০০ সন্তানের জননী।

২৫৬ বছরে ২৩ বার বিয়ে করে ২০০ সন্তানের জননী
লি চিং- http://www.topbanglapages.com/

২৫৬ বছর বেঁচে থাকার বিষয়টি আপনি কি কখনো কল্পনাও করতে পারেন? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, চীনের এক ব্যক্তি ২৫৬ বছর বেঁচেছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম লি চিং-ইউয়েন, যিনি একাধারে ছিলেন হারবালিস্ট, মার্শাল আর্টের শিক্ষক এবং যুদ্ধকৌশলী। চীনের সিচুয়ান প্রদেশের কুইজিয়াং জিয়ান গ্রামে তার জন্ম। লি চিং দাবি করেছিলেন, তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩৬ সালে। কিন্তু কাগজপত্রে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ ছিল ১৬৭৭ সাল। ১৬৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করলে তার বয়স ২৫৬ এবং ১৭৩৬ সালে হলে বয়স ১৯৭ বছর। তবে তিনি যখনই জন্মগ্রহণ করুন না কেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা ব্যক্তি কিন্তু তিনিই। এতদিন কোনো ব্যক্তিরই বেঁচে থাকার রেকর্ড নেই। ধারণা করা হয়, তার দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার কারণ ছিল খাদ্যাভ্যাস। তিনি প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, এবং নানারকম বনের ফলমূল খেতেন। ১৬৭৭ সালে জন্মগ্রহণকারী লি চিং জীবদ্দশায় ২৩টি বিয়ে করেন এবং ২০০ সন্তানের জননী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

১৯৩০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের চেংদু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক য়ু চাং শি চায়না সাম্রাজ্যের কিছু নথি পেয়েছিলেন। তাতে দেখা যায়, ১৮২৭ সালে লি চিং-ইউয়েনকে ১৫০ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিল চীনা সরকার।আরেকটি নথিতে দেখা যায়,  ১৮৭৭ সালে লি চিং-ইউয়েনকে ২০০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।১৭৪৯ সালে ৭১ বছর বয়সে তিনি চীনের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে মার্শাল আর্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।

 তবে কী করে এই অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করেছিলেন তা হল তিনি লিখতে-পড়তে পারতেন। ১০ বছর বয়সেই তিনি চীনের কানসু, শানসি, তিব্বত, আনাম, সিয়াম ও মাঞ্চুরিয়া প্রদেশ ভ্রমণ করেন ওষুধি লতাপাতা সংগ্রহের করতেন এবং সেগুলো খেতেন। লি চিং-ইউয়েন ভাত থেকে তৈরি মদ ও ওষুধি লতাপাতা খেতেন।দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার রহস্য নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে , লি চিং ইউয়েন  বলেছিলেন, 'মনকে শান্ত রাখো, কচ্ছপের মতো বসো, কবুতরের ছন্দে হাঁটো আর কুকুরের মতো ঘুমাও।

নিচের ভিডিও টি দেখুনঃ

শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

0 coment rios: