বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১

কেন ঘুমের মধ্যে জিন আল কাবুস আক্রমণ করে? অথবা ঘুমের মধ্যে কেন বোবায় ধরে?

কেন ঘুমের মধ্যে জিন আল কাবুস আক্রমণ করেঃ

 

ইসলাম অনুসারে বিভিন্ন ধরণের জ্বিন রয়েছে এবং এর মধ্যে একটি হ'ল জিন আল কাবুস যা আপনাকে ঘুমের সময় আক্রমণ করে এবং ঘুমের পক্ষাঘাতের কারণ সৃষ্টি করে। 
 
যেভাবে ঘুমের সময় জ্বিন আল কাবুস আক্রমণ করে। যদি আপনি ঘুমিয়ে পড়ে থাকেন এবং মনে করেন যে আপনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে  বা আপনার উপর এমন কিছু চাপ দেওয়া হচ্ছে যা আপনাকে শ্বাস নিতে দিচ্ছে না এবং হঠাৎ করেই আপনি শ্বাস ফেলার চেষ্টা করে জেগে উঠেছেন, তাহলে  আপনি জিন আল কাবুস দ্বারা আক্রমণের স্বীকার হয়েছেন। 

চিকিত্সা বিজ্ঞান দাবি করেছে যে এই জাতীয় ঘটনাটি " মুলত স্লিপ প্যারালাইসিস বা ঘুমের পক্ষাঘাত" নামে পরিচিত, অন্যদিকে ধর্মীয় পন্ডিতরা এটি জিনদেরর আক্রমণ বলে দাবি করেছেন। 
   
আপনি যদি ভাবেন আমার এই সমস্যা প্রায় সময় বা মাঝে মাঝে হয় তাহলে আমার করণীয় কি? 
এটি যদি ইসলাম অনুসারে জিন আল কাবুস দ্বারা আক্রমন হয় অথবা চিকিত্সা বিজ্ঞান অনুসারে স্লিপ প্যারালাইসিস হয়ে থাকে তাহলে এই অনুভূতিটি বেশ ভয়ঙ্কর এবং অনতিবিলম্বে সুচিকিৎসা নিতে হবে।
  1. আপনি যদি ভাবেন যে এই সমস্যাটি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হচ্ছে, তাহলে আপনার খুব দ্রুত মেডিকেল সহায়তা নিতে হবে।
  2. আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে ঘুমের পক্ষাঘাত কোনও জিনের কারণে ঘটে থাকে তবে ইসলামিক উপায়ে রুকাইয়া বা  সুচিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করুন ।
ইসলামে জিন আল কাবুসের সাথে সম্পর্কিত কোন সঠিক হাদিস পাওয়া যায়নি। 
তবে আমাদের এ সত্যটি ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে পবিত্র কোরআনে জিন সম্পর্কে একটি সুরা জিন নাযিল করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সূরায় জিনের কথা বলা হয়েছে। কাজেই ঘুমানোর সময় জিন আক্রমন করতে পারে এ বিষয় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। 
কেন ঘুমের মধ্যে জিন আল কাবুস আক্রমণ করে
 
জিন আল কাবুস দ্বারা আক্রমনের হাত থেকে বাঁচার জন্য আপনাদের করণীয় কি কি?
ঘুমানোর সময় জিন আল কাবুসের আক্রমণ এড়াতে আমরা অবশ্যই কিছু ব্যবস্থা নিতে পারি। সবচেয়ে ভাল উপায় হযরত মুহাম্মদ (স:) এর সুন্নাহ অনুসারে ঘুমানো ﷺ এই জিনের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য আমাদের ঘুমানোর আগেনকিছু কাজ সম্পাদন করা উচিত সেগুলো হলঃ 
  1. ঘুমের আগে অবশ্যই অযু করবেন।
  2. ঘুমের আগে অবশ্যই এশার সালাত আদায় করবেন।
  3. বিছানায় ঘুমানোর আগে অবশ্যই বিছানা পরিস্কার করে ফেলুন। 
  4. ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ পাঠ করুন।
  5. ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করুন।
  6.  ৩৪ বার আল্লাহু আকবর পাঠ করুন।
  7. সূরা আল-মুলক তেলাওয়াত করুন। 
  8. সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালক ও সূরা আল-নাস তেলাওয়াত করুন।
  9. পশ্চিমদিকে মুখ দিয়ে ঘুমান। অথবা  আপনার ডান পাশে ঘুমান। 
সর্বশেষ আপডেটের জন্য, আপনি আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে নিন। 


শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

1 টি মন্তব্য: