রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১

শহীদী মৃত্যু কতই না সুন্দর।

 শহীদী মৃত্যু কতই না সুন্দর কতই না মর্যাদাবান ভিডিও টি না দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন না।

জন্ম মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা। অর্থাৎ জন্ম হয়েছে যার মৃত্যু তার অবধারিত। এটাই দুনিয়ার নিয়ম। ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে’ (সূরা আলে ইমরান-১৮৫)। মুমিনের মৃত্যু আর অন্যদের মৃত্যু একরকম নয়। আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা:কে বলেছেন, ‘আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য’ (সূরা আনআম-১৬২)।

একজন মুমিনের স্বীকৃতি এটিই যে, আমার সব কাজ এবং জীবন-মরণ আল্লাহর জন্য নিবেদিত। আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন, ‘তিনি জান্নাতের বিনিময়ে মুমিনদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন’ (সূরা তাওবা-১১১)। মুমিনের কামনা-বাসনা হলো শহীদি মৃত্যু। কেননা, মহানবী সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল অথচ জিহাদ করেনি এমনকি মনে জিহাদের তথা শহীদি মৃত্যুর চিন্তাও করেনি, সে যেন মুনাফেকির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল’ (সহিহ মুসলিম)।

মৃত্যুর মধ্যে সর্বোত্তম ও সম্মানজনক মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। স্বয়ং নবীজী সা: বারবার শাহাদত কামনা করেছেন। রাসূল সা: সর্বদায় মহান আল্লাহর কাছে শহীদি মৃত্যু কামনা করে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মার যুকনি শাহাদাতান ফি সাবিলিক’। অর্থাৎ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার পথে শাহাদাত নসিব করো (আমি তোমার পথে শহীদ হতে চাই)। সব সাহাবায়ে কেরাম রা: সর্বদায় শাহাদাতের মৃত্যু কামনা করেছেন।
শহীদী মৃত্যু কতই না সুন্দর।


শহীদদের মর্যাদা বর্ণনা করতে গিয়ে পবিত্র কুরআনে কারিমের অন্য এক জায়গায় বর্ণিত রয়েছেÑ ‘আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের তোমরা মৃত বলো না, তারা জীবিত এবং তারা তাদের রবের কাছ থেকে রিজিকপ্রাপ্ত’ (সূরা আল ইমরান)। শহীদের মর্যাদা এত বেশি যা রাসূলের হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায়। হজরত আনাস রা: বর্ণনা করেন, রাসূল সা: বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করার পর আর দুনিয়ায় ফিরে যেতে চাইবে না। যদি সে দুনিয়ার তামাম জিনিস পেয়ে যায়, তবুও না।

অবশ্য শহীদের কথা আলাদা। সে চাইবে যে, তাকে দুনিয়ায় ফিরিয়ে আনা হোক এবং ১০ বার তাকে আল্লাহর পথে শহীদ করা হোক। এগুলো ছাড়াও মহানবী সা: অন্য এক জায়গায় বলেছেন, শহীদ ব্যক্তির শুধু জানাজা দিয়ে পরনের জামাকাপড়সহ দাফন করে দেয়া হবে এবং কিয়ামতের দিন তারা রক্তমাখা জামাকাপড়সহ আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবেন। তখন আল্লাহ তায়ালা শহীদ ব্যক্তিকে দেখে খুশি হয়ে যাবেন।

শহীদের প্রাপ্তি ও মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা: আরো বলেন, ‘একজন শহীদ আল্লাহর কাছ থেকে আরো ছয়টি পুরস্কার পাবেন আর সেগুলো হলোঃ
  1. প্রথম রক্তের ফোঁটা বের হওয়ার সাথে সাথেই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং শহীদ ব্যক্তি জান্নাতে তার স্থান দেখে নেয়।
  2. কবরের আজাব থেকে তাকে দূরে রাখা হয়।
  3. বড় ভীতি অর্থাৎ কিয়ামতের কঠিন অবস্থা থেকে নিরাপদ থাকবে।
  4. তাকে ঈমানের একজোড়া অলঙ্কার পরানো হবে।
  5. হুরদের সাথে বিয়ে দেয়া হবে।
  6. নিকটাত্মীয়দের থেকে ৭০ জন ব্যক্তিকে সুপারিশ করতে পারবে।

শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

0 coment rios: