বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২

হার্ট ভালো করার ছোট দোয়া।

 হার্ট ভালো করার ছোট দোয়া। 

হার্ট ভালো করার ছোট দোয়া।


মানুষের প্রত্যেকটি অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। একটি রেখে আরেকটি কে ভাবা প্রায় অসম্ভব। তবে তার মধ্যে থেকে শরীরের কিছু অঙ্গ আছে যেগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে হার্ট বা হৃদপিণ্ড অন্যতম। এ হৃদপিণ্ড সম্পর্কে হাদিস শরীফে এসেছে যে, মানুষের শরীরের বুকের বাম পাশে একটি গোস্তের টুকরো আছে, যার এই একটিমাত্র গোশতের টুকরো সুস্থ থাকবে, তার সমগ্র শরীরই সুস্থ থাকবে। আর যার এই গোস্তের টুকরোটি অসুস্থ হয়ে পড়বে, তার পুরো শরীরই অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর এই হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে উত্তম কাজ হলো বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা।  
 
বর্তমান সময়ে মানুষের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি হার্ট বা হৃদপিণ্ড সবচেয়ে বেশি রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। হার্ট বা হৃদপিণ্ডের ব্যথা বা জ্বালা করা অথবা ধড়ফড় করলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কোনভাবেই রোগটিকে হালকা ভেবে বসে থাকা চলবে না। 

তবে পবিত্র কোরআনের আমলেও হৃদপিণ্ডের ব্যথা ও ব্যধি থেকে মুক্ত থাকা যায়। যারা নিয়মিত কুরআন তেলোয়াত করবে আল্লাহ তাআলা তাদের হৃদপিণ্ডের ব্যথাসহ যাবতীয় রোগ-ব্যধিগুলো দূর করে দেবেন। এছাড়াও কোরআন পাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত আছে যা নিয়মিত পাঠ করলে হার্টের রোগ ভালো হয়ে যায়। হার্ট ভালো করার দোয়াটি হলঃ   

উচ্চারণ : আল্লাজিনা আমানু ওয়া তাত্বমাইন্নু ক্বুলুবুহুম বিজিকরিল্লাহি আলা বিজিকরিল্লাহি তাত্বমাইন্নুল ক্বুলুবু।’ (সুরা রাদ : আয়াত ১৩)

কোন ব্যক্তি সুরা রাদের উল্লেখিত আয়াত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শেষে নিয়মিত ৪১ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার হার্ট বা হৃদপিণ্ডের ব্যথা ও রোগ-ব্যধি সহজেই দূর করে দেবেন। 
আয়াতের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী বেশি বেশি জিকির করার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহর জিকির ও কুরআনের আমলই মানুষকে হার্ট বা হৃদপিণ্ডের সকল প্রকার রোগ-ব্যধি ও ব্যথা থেকে মুক্ত রাখতে পারে। 
  

আল্লাহ তাআলা সকল মুসলিম জাতিকে হার্ট বা হৃদপিণ্ডের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত জিকির ও কুরআনের আমল করার তাওফিক দান করুন। বুকের সব   ধরনের ব্যথা থেকে সকলকে হেফজাত করুন। আমিন। 

শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

1 টি মন্তব্য: